কয়েকদিন আগেই ভারতীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়ে দিয়েছেন যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যদি ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি হয়, সেক্ষেত্রে সরকারের কোনও বাধা নেই। অর্থাৎ আইসিসি, এশিয়া কাপের কথা তিনি বলেছেন। এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। এরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে একপ্রকার তাঁদেরকে উচিত শিক্ষা দেয় ভারত। এবার এশিয়া কাপ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা, যার পলে বেজায় সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী এশিয়া কাপ আয়োজিত হলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রায় ৩৪.৮ কোটি টাকা লাভ করবে, অর্থাৎ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের থেকে পাবে। আইসিসির ইভেন্ট খেললে আরও বেশি টাকা পায় তাঁরা। মুলত আইসিসি এবং এশিয়া কাপের ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তান ক্রিকেটের অর্থনীতী টিকে রয়েছে। কিন্তু এসিসি এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি যে এই প্রতিযোগিতা আদৌ হবে কিনা।
সম্প্রতি এসিসির বার্ষিক সভায় তাঁদের চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি স্বশরীরে উপস্থিত হননি সিঙ্গাপুরে, তিনি ভার্চুয়ালি যোদগ দেন। পিসিবির তরফে সুনেইর আহমেদ যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু বাকি বোর্ডের থেকে তাঁরা কোনও সমর্থনই পাননি জুলাইয়ের ২৪ তারিখের ঢাকায় মিটিংয়ে আশার ব্যাপারে। এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, এখানে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে।
ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ওমানসহ বেশ কয়েকটি দেশের বোর্ডই ঢাকায় এসিসির বৈঠকে যেতে রাজি নয়। প্রসঙ্গত সেপ্টেম্বরে ভারতের কথা ছিল এশিয়া কাপ আয়োজন করার। কিন্তু পহেলগাঁওতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের নৃশংস হামলার পর মনে করা হচ্ছে বিসিসিআই এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে, সেক্ষেত্রে আয়োজক দেশ সরে দাঁড়ালে গোটা প্রতিযোগিতায় বাতিল করা হতে পারে।