বেআইনি বেটিং অ্যাপ মামলায় এবার শিখর ধাওয়ানকে তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি 1xBet নামক একটি অবৈধ বেটিং অ্যাপের বিষয় তদন্তের ব্যাপারেই সমন পাঠিয়েছেন শিখরকে। সূত্রের খবর, ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এই বেটিং অ্যাপের কিছু নির্দিষ্ট কাজে যুক্ত ছিলেন। সেসব বিস্তারিত জানতেই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে এবার।
আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইন (PMLA)-এর অধীনে শিখর ধাওয়ানের বক্তব্য রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 39 বছর বয়সী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের কী যোগ ছিল বেটিং অ্যাপটির সঙ্গে, তা জানার চেষ্টা করবে ইডি। প্রসঙ্গত, তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অবৈধ এই বেটিং অ্যাপ অসংখ্য মানুষ এবং বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে অ্যাপের বিরুদ্ধে। একাধিক মামলা রুজু হয়েছে এই অ্যাপের নামে।
গত মাসে, প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাকে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি আইন এনে রিয়েল-মানি অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করেছে। সুরেশ রায়নার বক্তব্য অনুযায়ী, ইডি তাঁকে আট ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। অন্য এক সূত্রের খবর, ইডি 1xBet বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে PMLA আইনে রায়নার বক্তব্য রেকর্ড করেছে। শিখরের মতো রায়নার বিরুদ্ধেও যোগসাজসের একাধিক প্রমাণ পেয়ছে ইডি।
এছাড়াও, ইডি সম্প্রতি তার তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুগল এবং মেটার প্রতিনিধিদের ডেকেছে। Parimatch নামে অন্য আরেকটি একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে একই ধরণের তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এর জন্য একাধিক রাজ্যে অনুসন্ধান চালিয়েছে ইডি। বর্তমানে অবৈধ বেটিং অ্যাপগুলি অসংখ্য মানুষ এবং বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন বাজার বিশ্লেষণ সংস্থা এবং তদন্ত সংস্থাগুলির অনুমান, এই ধরণের বিভিন্ন অনলাইন বেটিং অ্যাপে প্রায় ২২ কোটি ভারতীয়র বিনিয়োগ ছিল। যার মধ্যে অর্ধেক (প্রায় ১১ কোটি) নিয়মিত ইউজার ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে অনলাইন বেটিং অ্যাপের বাজার ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি, যা প্রতি বছর ৩০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।