টলিপাড়ার কোনও নামী মুখ নেই। তবে তারপরেও বাংলা ছবি 'ঘাসজমি' ছুঁয়ে ফেলল ১০০ টা স্বীকৃতি-র বিরল রেকর্ড, তাও আবার মুক্তির আগেই। এই ১০০ টার মধ্যে রয়েছে ৮৬ টা পুরষ্কার। ফিল্ম সমালোচকরা বলছেন, এমনটা আগে কোনও বাংলা ছবির ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা মনে পড়ছে না।
তা কী আছে ছবির গল্পে?
'ঘাসজমি' দুটি মেয়ের গল্প। যাঁরা অসমবয়সী এবং চরিত্রগত ক্ষেত্রেও একে অপরের থেকে আলাদা। একটি প্রথাগত সাক্ষাৎকারে-দুজনের প্রথমবার দেখা হয় কিন্তু তারপর তাঁদের সম্পর্ক আর প্রথাগত থাকে না। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠে। আর এই দুই অসমবয়সী মেয়ের বন্ধুত্ব কীভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে বদলে দিতে শুরু করে সেই গল্প বলবে 'ঘাসজমি'। ছবির মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জিতা আর শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়, অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, শাওন চক্রবর্তী, আরশি রায় প্রমূখ।

'ঘাসজমি'

‘ঘাসজমি’র দৃশ্য

'ঘাসজমি'তে সঞ্জিতা

'ঘাসজমি'-তে শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়
শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায় জানান, ‘এটাই আমার প্রথম ছবি। এর আগে কখনও তিনি কোনও ছবিতে কাজ করেননি। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ সুন্দর, এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন।’ আরও এক অভিনেত্রী সঞ্চিতা বলেন, ‘ঘাসজমি ছবিতে ইপ্সিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্বীকৃতি পাচ্ছে এটা জেনে ভালো লাগছে। আশা করি, ছবি মুক্তির পরও দর্শকরা আমাদের পাশে থাকবেন।’
আগামী মে মাসে থিয়েটারে আসতে চলেছে 'ঘাসজমি'। পরিচালক সুমন্ত্র রায় এবং প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা মোরে দুজনেই দেশে -বিদেশে ছবির সাফল্যে ভীষণ খুশি। তাঁদের কথায়, সংখ্যাটা যে শেষ পর্যন্ত ১০০তে গিয়ে পৌঁছবে সেটা তাঁদের কল্পনার অতীত ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর এই শহরের মানুষরাও 'ঘাসজমি' দেখতে হলে আসবেন এটাই তাঁদের আশা। তবে শুধু ছবি দেখাই নয়, তারা চান এই ছবি যেন বিনোদনের পাশাপাশি এই ছবি মানুষের চিন্তার পরিসর খুলে দিক।