কিছুতেই যেন আর কমছে না বচ্চন পরিবারের ভাঙনের জল্পনা। অভিষেক বচ্চনের জন্মদিনে ঐশ্বর্যর লম্বা পোস্ট দেখে যখন অনেকেই মনে মনে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যে, সব ঠিক আছে, তখনই বোমা ফাটালেন শ্বেতা বচ্চন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটা অদ্ভুত স্টোরি দিলেন তিনি। যা কপালে ভাঁজ ফেলতে বাধ্য। নেটিজেনদের অনেকেরই ধারণা, এই পোস্টের নিশানায় আসলে আছে তাঁর ভাইয়ের বউ-ই।
শ্বেতা বচ্চনের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখা রয়েছে, ‘নিজের জায়গা পাওয়ার জন্য কিংবা কোনওকিছু টিকিয়ে রাখার জন্য মহিলা নেকড়েরা বহু দূর যেতে পারে। হয়তো আমাদের এই নেকড়দের থেকে কিছু শেখা উচিত। এমনও হতে পারে আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা তা শিখেও ফেলেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘সানা এসো’, মেয়েকে আমন্ত্রণ ব্যারাকপুরের দাদা বউদি বিরিয়ানিতে! শর্ত চাপালেন সৌরভ
আপাতত শ্বেতার এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরির স্ক্রিনশট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ঐশ্বর্যর অনুরাগীদের দাবি, অমিতাভ বচ্চনের মেয়ের নিশানায় প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। এর আগেও শ্বেতা আর ঐশ্বর্যর ভিতরকার দ্বন্দ্ব এসেছে প্রকাশ্যে। করণ জোহরের কফি উইথ করণ-এ এসেও ভাইয়ের বউয়ের নিন্দে করেছিলেন। করণ যখন জিজ্ঞাসা করেন ঐশ্বর্যর কোন স্বভাব তাঁর একেবারে পছন্দ নয়, তখন জবাব এসেছিল, ফোন বা ম্যাসেজের উত্তর না দেওয়া। যদিও সঙ্গে গুণ হিসেবে অভিনেত্রীকে ‘স্ট্রং মহিলা ও চমৎকার মা’ বলে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: বদলে গেল জলসার চিনি-র নায়িকা! ইন্দ্রাণীর বদলে নতুন মুখ প্রোমোতে, চেনেন মেয়েটিকে?
মাসখানেক আগেই বচ্চন পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, শ্বেতা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে মা-বাবার সঙ্গে থাকতে আসার পর থেকেই সমস্যা বেড়েছে বচ্চন পরিবারে। দীর্ঘদিন জলসার বাংলোতে নিজের মতোই থাকতেন। একেবারে আলাদা সকলের থেকে। তারপর মায়ের কাছে চলে যান। এমনকী, আরাধ্যাও নাকি এখন থাকে দিদার বাড়িতেই।
আরও পড়ুন: রোম্যান্টিক দৃশ্যের শ্যুটে বেজায় চোট পেলেন ‘কথা’ সুস্মিতা, কী এমন হয়েছিল সেদিন
শ্বেতা-পুত্র অগস্ত্য নন্দা পা রেখেছেন বলিউডে সম্প্রতি। তাঁকে দেখা গিয়েছে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার দ্য আর্চিস-এ। আর এই প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন আরাধা ও ঐশ্বর্য দুজনেই। এমনকী, ননদের ছেলের সঙ্গে বেশ মস্করাও করতে দেখা যায়। এমনকী, আরাধ্যার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানেও দাদু অমিতাভের সঙ্গে গিয়েছিলেন অগস্ত্য।
৫ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘অনেক শুভেচ্ছা জন্মদিনের। তোমার জন্মদিনে আনন্দ, খুশি, ধৈর্য্য ও শান্তির কামনা করছি। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন। এভাবেই উজ্জ্বল থেকো।’