নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই শোকের খবর। প্রায় দেড় বছর ক্যানসার রোগের সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন হীরালাল ছবির পরিচালক অরুণ রায়। অল্প সময়ে একাধিক পিরিয়ড ছবি বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দেন দেব এবং রুক্মিণী।
অরুণ রায়ের শেষকৃত্যে দেব রুক্মিণী
বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি সকালেই খবরটা আসে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাঘা যতীন ছবির পরিচালক অরুণ রায়। তিনি ভর্তি ছিলেন আরজি কর হাসপাতালে। ১ জানুয়ারি রাতেই জানা যায় ক্রিটিকাল অবস্থা তাঁর। সকালে সমস্ত মায়া কাটিয়ে পরপারে যাত্রা করলেন তিনি। এদিন তাঁর প্রয়াণের খবর পেতেই শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁর ছবির বাঘা ওরফে দেব এবং রুক্মিণী মৈত্র। তবে সেটাই নয়। এদিন যখন টলিউডের প্রায় কাউকেই সেই অর্থে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে দেখা গেল না পরিচালকের শেষকৃত্যে তখন দেব, রুক্মিণী সেখানে ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের এদিন অরুণ রায়ের শববাহী শকট করেই শ্মশানে আসেন।
এদিন গাড়ি থেকে নেমে খানিকক্ষণ এই তারকা জুটিকে পরিচালকের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রুক্মিণী। বারবার মুছতে থাকেন চোখ। এ যেন প্রিয় জনের বিয়োগ। প্রিয়জনেরই তো বিয়োগ। দেব, রুক্মিণী দুজনেই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করে সেই কথাই লিখেছেন।
দেব এদিন তাঁর 'বন্ধু' অরুণ রায়কে নিয়ে লেখেন, 'অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো…।' অন্যদিকে রুক্মিণী মৈত্র লেখেন, 'আমি সবসময় তোমাকে ভালোবাসব হিরো... তুমি একজন হিরোর মতোই লড়াই করেছ। তোমার নায়িকা তোমায় প্রতিজ্ঞা করছে, তোমাকে দেওয়া সব কথা রাখবো অরুণ দা। সত্যি বলি.. না ছেড়ে গেলেও পারতে.. তবু মেনে নিতেই হবে.. আমি তোমাকে ভালোবাসি।' সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিরসা দাশগুপ্ত, কিঞ্জল নন্দ, অঙ্কুশ হাজরারাও শোকপ্রকাশ করেছেন পরিচালকের প্রয়াণে।
অরুণ রায়ের প্রসঙ্গে
২০১১ সালে এগারো ছবিটির মাধ্যমে টলিউডে পরিচালক হিসেবে পা রাখেন অরুণ রায়। এরপর চোলাই, হীরালাল, ৮/১২ এর মতো একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর বাঘা যতীন যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দেব। সেই ছবি করতে গিয়েই তাঁদের সম্পর্ক গাঢ় হয়। বাঘা যতীন ছবিটির শ্যুটিংয়ের সময়ই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। লড়াই চালাচ্ছিলেন। কিন্তু গত ২১ ডিসেম্বর তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়লে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। বুধবার রাত থেকে তাঁকে বাইপ্যাপ দেওয়া হয়। এদিন সমস্ত লড়াই থামিয়ে পাড়ি দিলেন অন্য জগতে।