আজ বৃহস্পতিবার উত্তমকুমারের প্রয়াণ দিবস। প্রতি বছর কিংবদন্তি অভিনেতাকে সম্মান জানাতে, রাজ্য সরকারের তরফে মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। থাকবেন মহানায়কের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। এই বছরের বিজেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই বছরের বিজেতাদের তালিকা:-
সোমনাথ কুণ্ডু: কয়েক যুগ ধরে, চলচ্চিত্রে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন সোমনাথ কুণ্ডু। বাংলা সিনেমায় প্রস্থেটিক ব্যবহারের কান্ডারী বললেও ভুল হয় না সোমনাথকে।
আনন্দ আঢ্য: অপরাজিত ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আনন্দ আঢ্য। অটোগ্রাফ, বাইশে শ্রাবণ, অপরাজিত, ডবল ফেলুদা, হেমলক সোসাইটির মতো ছবিতে প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন আনন্দ।
গার্গী রায়চৌধুরী: দীর্ঘ সময় ধরে সিনেমায় নিজের অবদান রেখেছেন অভিনেত্রী গার্গী। ইতি মৃণালিনী, খাদ, হামি-র মতো সিনেমা দিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন।
ইমন চক্রবর্তী: ‘প্রাক্তন’ ছবির জন্য তুমি যাকে ভালোবাসো গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পান গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দৃষ্টিকোনের মতো ছবিতে সংগীত পরিবেশন করেন ইমন। আধুনিক বাংলা গান থেকে শুরু করে, লোকগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, সবই সুনিপুনভাবে ফুটে উঠেছে ইমনের গলাতে।
রূপঙ্কর বাগচি: বাংলার অন্যতম বিখ্যাত গায়ক হলেন রূপঙ্কর বাগচি। চলো লেটস গো, বাইশে শ্রাবণ, হেমলক সোসাইটি, উমা-র মতো সিনেমায় তাঁর গান অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে রূপঙ্করের কেরিয়ারের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হল জাতিষ্মর ছবির জন্য ‘এ তুমি কেমন তুমি’ গানটি। যার জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পান।
গৌতম ঘোষ: পরিচালক হিসেবে গৌতম ঘোষের অবদানও অনস্বীকার্য। পদ্মা নদীর মাঝি, মনের মানুষের মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। সিনেমার পাশাপাশি তথ্যটিত্রও বানিয়েছেন। বিসমিল্লাহ খান, সত্যজিৎ রায়, দলাই লামা, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছেন।