টলিপাড়ায় অভিনেত্রী হিসাবে যথেষ্ঠ পরিচিত মুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু কলকাতা নয়, কেরিয়ার গড়তে একসময় আরও অনেকের মতোই সুদূর মুম্বইতে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে ঠিক কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সেকথা সম্প্রতি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন কনীনিকা।
'স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী'-তে এসে অনেক অজানা কথাই সামনে আনেন কনীনিকা। কলকাতায় যখন কেরিয়ার গড়ছিলেন, সেসময়ে ফিরে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের সময়ে না অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হত। যাঁরা বলে না করেনি, আর অন্যের উপর দোষ চাপায়…আমরা না সব দেখেছি। তবে আমি কিন্তু জাজমেন্টাল নই। কেউ যদি কম্প্রোমাইজ করে, সেটা তাঁর নিজস্ব ভাবনা। সে নিজের পছন্দে সেটা করেছে। আর আমি পারিনি বলেই আমাকে দয়া করো, এমনটাও বলছি না। আমি শক্ত হয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচেছি। আমি জানি, কে কেমন মানুষ, আবার আমাকে অনেকে দিদি বলে ভয়ও পায়, সেটাও আমি জানি। আবার আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরাও জানেন যে আমি কেমন।’
কনীনিকা বলেন, ‘আবার আসব ফিরে-র পর যখন কাজ পেলাম না, তখন আমি এখানে সিরিয়াল করা শুরু করি। তারপর বোম্বে যাই।’
মুম্বই যাওয়া নিয়ে কনীনিকা বলেন, ‘আমি কাজ পেতে মুম্বই গিয়েছিলাম। ওখানে দেখলাম নদী থেকে সমুদ্রে এসে পড়লাম। এখানে তো বস আরও…বিকেলবেলা কফি, আর রাতে চিয়ার্স বলতে হয়। এদিকে আমি একেবারে অন্যরকম। তবে এই কনী কিন্তু জানে এগুলো কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। কারণ আমার তখন অল্প বয়স। তবে আমি ভাবতাম, আমায় কফি খেতে বলছে ঠিক আছে, তবে ড্রিংক করতে ডাকছে!’
এরপরই বিস্ফোরক সত্যি সামনে আনেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, মুম্বই গিয়ে এক বাঙালি প্রযোজকের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু তাঁর। একদিন ওই প্রযোজক তাঁকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান। অভিনেত্রী সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। কারণ, তিনি তাঁকে কলকাতা থেকেই চিনতেন। কনীনিকা বলেন, ‘আমরা বন্ধু হয়ে গিয়েছি। ও জিগ্গেস করল, ওয়াইন খাবে? আমি বললাম হ্য়াঁ। কারণ আমি ওয়াইন খেতে ভালোবাসি। আমি আনন্দ করে খাই। তবে খেলে কিন্তু আমি আরও স্পষ্ট বক্তা হয়ে যাই। আর আমি খুব শক্তিশালী হয়ে যাই। কারণ অ্যলকোহল ব্যক্তি বিশেষে কিছু কিছু পরিবর্তন আনে।’
এরপরই কনীনিকা বলেন, ‘এবার উনি তো রেডি। উনি ভেবেছিলাম, আমার হাতে ওয়াইনের গ্লাস তুলে দিয়ে বোধহয় চুমু খেতে পারবেন। এবার তিনি অনুমতি ছাড়াই চুমু খাওয়ার চেষ্টা করলেন, আমি চড় কষালাম। হ্য়াঁ, আমি ওই প্রযোজককে চড়ও মেরেছিলাম। এরপর উনি আমায় কলকাতার কিছুজনের নাম করে বললেন, ওরা তো আমায় চুমু খেতে দিয়েছে, আমি অবাক হয়ে গেলাম, এখন ভাবলে মনে হয়, কী ফানি! কী অদ্ভুত!…’