আরজি করে ডাক্তার তরুণীর খুন ও ধর্ষণের পর কেটে গিয়েছে সাত-সাতটা দিন। এখনও দোষীরা অধরা। বিচারের আশায়, সঠিক অপরাধীর মৃত্যদণ্ড চেয়ে পথে নেমেছে লাখ-লাখ মানুষ। এমনকী, তারকা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিটকেল বাঙালি ওরফে সৈয়দ শামসিল একটি নতুন ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সোশ্যালে। যা নিঃসন্দেহে ব্যাঙ্গার্থক। সেই সমস্ত মানুষকে নিয়ে বানানো যারা সবেতেই মহিলাদের দোষী করে। আরজি করের ঘটনায়, ঠিক কী বলতে পারে তারা, সেটাই তিনি অভিনয় করে দেখিয়েছেন।
‘কিছু না কিছু ইঙ্গিত তো মেয়েটা দিয়েছিল। আমি সিওর। কী ড্রেস পরেছিল? আমি সিওর কোনও না কোনও টাইট ফিটিংস জামাকাপড়। এতজন ছিল, ওই কেন ওখানে গেল? ও কেন বাকিদের ইঙ্গিত দিচ্ছিল? পৃথিবীতে এত তো মেডিকেল কলেজ ছিল, মেয়েটা আরজি করেরই কেন ডাক্তার? আরেকটা জিনিস ভাবার আছে, মেয়েটা ডাক্তার কেন হল? এত কিছু তো হওয়া যায়, ডাক্তার কেন হল? এগুলো ভাবার আছে। মেয়েটা জন্মাল কেন? নাও তো জন্মে থাকতে পারত, তাও কেন জন্মাল? মেয়েটার বাবা-মা কেন জন্মেছে? মেয়েটা ওইদিনই কেন ডিউটিতে গেছিল যেদিন ঘটনাটা হবে? মেয়েটা যখন জানত ঘটনাটা হবে, বেঁচে ছিল কেন? মেয়েটা মেয়ে হল কেন? ওটাও একটা ভুল ওর। মেয়েটা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল কেন? বাড়িতে থাকতে পারত! বাড়িতে থাকলে কি ওর সঙ্গে এসব হত? ওটাই ওর ভুল হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বেরনোটাই ভুল হয়ে গেছে। দেখ, চাইলে আমিও প্রোটেস্ট করতে পারি। কিন্তু আমি পরেরটায় প্রোটেস্ট করব। এটায় ভালোলাগছে না!’
সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল ভিডিয়োটি। কারণ আমাদের দেশে, নির্যাতিতার দিকে আঙুল তোলা সত্যিই কোনও বিরল ঘটনা নয়। অতীতেও অনেক ঘটেছে, এমনকী সেই সময় আরজি করের সুপার সুন্দীপ ঘোষও বলেছিলেন, মেয়েটির একা নাকি সেমিনার হলে ঘুমনো উচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও যে একজন ধর্ষিতাকেই দোষ দেওয়া হবে না, তা কেই বা নিশ্চিত করতে পারে!
একজন মন্তব্য করলেন, ‘ভাই তুমি সেরা, অনেক অনেক ধন্যবাদ!! প্রতিবাদের ভাষা যে কত রকমের হয় তুমি বুঝিয়ে দিলে তোমার কাজের মধ্যে দিয়ে।’ দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। তুমি ভাই নিজের মতো করে প্রতিবাদ করলে, ভালো লাগল। আজকাল তো মেরুদণ্ড জিনিসটা বিরল হয়ে গেছে’।