বেঙ্গালুরুতে কেএল রাহুলের সেলিব্রেশনের জবাব দিল্লিতে দিলেন বিরাট কোহলি। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (আরসিবি) হারানোর পরে যেভাবে সেলিব্রেশন করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা কেএল রাহুল, রবিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লিকে হারিয়ে ঠিক সেভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন বিরাট। তবে একেবারেই আগ্রাসীভাবে সেই সেলিব্রেশন করেননি আরসিবি তারকা। বরং একেবারে হাসিমুখে রাহুলের সামনেই সেরকম সেলিব্রেশন করেন। আর তারপর হাসতে-হাসতে জড়িয়ে ধরেন রাহুলকে। একেবারেই মজার ছলে সেই পর্বটা মিটে যায়।
আর সেই মুহূর্তটার জন্য সেই ১০ এপ্রিল থেকে অপেক্ষা করছিলেন অনেকেই। কারণ সেদিন চিন্নস্বামীতে আরসিবিকে হারানোর পরে ‘এটা আমার মাঠ’ সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন রাহুল। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
আসলে রাহুল বেঙ্গালুরুর ছেলে। চিন্নস্বামীতে প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। সেই চিন্নাস্বামীতেই আরসিবির বিরুদ্ধে ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস খেলে দিল্লিকে জেতানোর পরে মাঠে গোল করে ব্যাটটা ঘোরান। যেমনভাবে লাঠি পুঁতে দেওয়া হয়, সেরকমভাবে ব্যাট পুঁতে দেওয়ার সেলিব্রেশন করেছিলেন। তখন থেকেই সকলে অপেক্ষা করছিলেন যে বিরাট যখন নিজের ‘হোম’ দিল্লিতে আসবে, তখন রাহুলদের হারিয়ে কীভাবে সেলিব্রেশন করবেন।
আরও পড়ুন: W, 4, W, 1, 1,1- হার্দিকের মোক্ষম চালে এক ওভারেই কোণঠাসা LSG, ফাঁদে পা দিলেন পুরান-পন্ত: ভিডিয়ো
রাহুলের সামনেই ‘এটা আমার মাঠ’ সেলিব্রেশন বিরাটের
আর রবিবার রাত ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ সেই উত্তর দিয়েছেন বিরাট। আরসিবির জয়সূচক শটের সময় ক্রিজে না থাকলেও ডাগ-আউটেই আগ্রাসী সেলিব্রেশন করেন ভারতীয় তারকা। তবে সেটা বাড়তি কিছু ছিল না। বরং ট্রেডমার্ক বিরাট সেলিব্রেশন ছিল। পরবর্তীতে মাঠে ঢুকে রাহুল-সহ দিল্লির খেলোয়াড়দের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। আর সেইসময় রাহুলের সামনেই হাসতে-হাসতে ‘এটা আমার মাঠ’ সেলিব্রেশন নকল করে দেখান। আর হাসিমুখে ভারতীয় দলের সতীর্থ রাহুলকে জড়িয়ে ধরেন।
'ডিয়ার কেএল রাহুল, এটা কোহলির হোমগ্রাউন্ড'
সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই নিজেদের হাসি সামলাতে পারেননি। পুরোটাই মজার ছলে হওয়ায় এক নেটিজেন আবার বলেন, 'বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল - চিরন্তন ভাই।' তবে কেউ-কেউ কিছুটা আগ্রাসীও হয়ে যান। দিল্লির মাঠে এক ফ্যান একটি পোস্টার নিয়ে আসেন। তাতে লেখা ছিল, 'ডিয়ার কেএল রাহুল, এটা কোহলির হোমগ্রাউন্ড।'
কোহলির মাঠে নায়ক অবশ্য ক্রুণাল
আর সেই 'কোহলির হোমগ্রাউন্ডে' দুর্দান্ত খেলেন বিরাট। কিছুটা কঠিন পিচে ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আরসিবি। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ক্রুণাল পান্ডিয়ার সঙ্গে ১১৯ রান যোগ করেন। তিনি মূলত ধরে খেলছিলেন। আরসিবির হয়ে আক্রমণাত্মক খেলার ভারটা নিজের কাঁধে তুলে নেন ক্রুণাল। শেষপর্যন্ত ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৭ বলে ৫১ রান করেন বিরাট। আর নয় বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটে জিতে যায় আরসিবি।