হাতে পর্যাপ্ত রান ছিল সন্দেহ নেই। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দু'শো টপকেও মুম্বই জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল না মূলত নিকোলাস পুরানের জন্য। পুরান চলতি আইপিএলে যে রকম বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন, তাতে তিনি দাঁড়িয়ে গেলে ম্যাচ একার হাতেই বার করে নিয়ে যেতে পারতেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দলনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার একটি মোক্ষম চালেই এক্ষেত্রে পুরানকে সস্তায় ফেরাতে সক্ষম হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ম্যাচে বিরাট ধাক্কা দেয় লখনউকে।
ওয়াংখেড়েতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে।
পালটা ব্যাট করতে নামা লখনউ শিবিরে শুরুতেই ধাক্কা দেন জসপ্রীত বুমরাহ। ২.৪ ওভারে জসপ্রীতের বলে নমন ধীরের হাতে ধরা দেন লখনউ ওপেনার এডেন মার্করাম। দলগত ১৮ রানের মাথায় ১ উইকেট হারানোর পরে লখনউয়ের হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন নিকোলাস পুরান।
ষষ্ঠ ওভারে দীপক চাহারের বলে পরপর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে পুরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেন। পেসারদের বিরুদ্ধে পুরানকে স্বচ্ছন্দ দেখাচ্ছে উপলব্ধি করেই হার্দির পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরেই বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসেন স্পিনার উইল জ্যাকসকে। দলে করণ শর্মার মতো বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকা সত্ত্বেও হার্দিক জ্যাকসকে আগে বল করতে পাঠান। এমনকি পান্ডিয়া নিজের থেকেও আগে বল করতে পাঠান উইলকে। আসলে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে জ্যাকসের সফল হওয়ার সম্ভাবনাকেই এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেন পান্ডিয়া।
বল হাতে নিয়েই পুরান ও পন্তকে ফিরিয়ে দেন উইল জ্যাকস
হার্দিকের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে দেখা দেয়। বল হাতে নিয়েই জ্যাকস ফিরিয়ে দেন নিকোলাস পুরানকে। ৬.১ ওভারে উইল জ্যাকসের বল পিচে পড়ে একটু থমকায়। ফলে পুরান বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যাটে যথাযথ কানেক্ট হয়নি। বল চলে যায় লং-অফ বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করা সূর্যকুমার যাদবের হাতে। পুরান ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন।
গত ম্যাচে ঋষভ পন্তের ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। তবে লখনউ দলনায়ক এই ম্যাচে ব্যাট করতে নামেন চার নম্বরে। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন। তবে দ্বিতীয় বলেই রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টায় শর্ট থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করা করণ শর্মার হাতে ধরা পড়ে যান পন্ত। অর্থাৎ, ৬.৩ ওভারে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২ বলে মোটে ৪ রান করেন পন্ত। তাঁর ব্যর্থতার ধারা জারি থাকে।
ওভারের শেষ ৩টি বলে তিনটি সিঙ্গল দেন উইল জ্যাকস। অর্থাৎ, ইনিংসের সপ্তম ওভারে জ্যাকস ৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। এই একটি ওভারই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ম্যাচে এক পা এগিয়ে দেয়।