ইংল্যান্ডের হেডিংলে টেস্টে দুই ইনিংসেই শতরান করে নজির গড়েছেন ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পন্ত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তাঁর ধারাবাহিকতা এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম ইনিংস থেকেই ঝলকানি দেখাচ্ছেন পন্ত। ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি এই কিপার ব্যাটার ১৩৪ রান করেন প্রথম ইনিংসে, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যদিও টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়কের এমন ইনিংস কাজে লাগেনি বোলারদের বদান্যতায়। কারণ বোলাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের হাতে বিপর্যস্ত হয়ে ম্যাচ হারিয়ে দেন।
কয়েক মাস আগে অবশ্য বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে অত্যন্ত খারাপ পারফরমেন্স ছিল পন্তের। সেখানে পাঁচ টেস্টে পন্তের রান ছিল মাত্র ২৫৫, ব্যাটিং গড় ছিল ২৮.৩৩। গোটা সিরিজে মাত্র ৬টি ছয় এবং ২৪টি চার মেরেছিলেন পন্ত। ভারতও সেই সিরিজ হেরে যায় ১-৩ ব্যবধানে, হাতছাড়া হয় বর্ডার গাভাসকর ট্রফিও।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ঋষভ পন্ত মেলবোর্ন টেস্টের পরই বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর খেলায় একটি বদল আনা প্রয়োজন। প্রথম ইনিংসে পন্তের বাজেভাবে আউট হওয়া দেখে ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকরও ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন। এরপর গোটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই পন্তকে ড্রেসিংরুমে বসিয়ে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঋষভ পন্ত নিজের হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টলড করে দিয়েছিলেন, এমনকি ফোনও নাকি তিনি বন্ধ রাখছিলেন। একান্ত কারোর সঙ্গে জরুরি কথা থাকলে তবেই ফোন অন করছিলেন তিনি। আইপিএলেও পন্ত গোটা মরশুমে ৩০০ রানও করতে পারেননি।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাই জানাচ্ছিলেন, ‘পন্ত গোটা দিনেই কঠোর পরিশ্রম করত। আমি ফাঁকা থাকলেই আমায় নিয়ে জিমে জেত। ওয়ার্ক লোড বা ক্লান্তি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতো না। ও বলত যে ওর খেলায় উন্নতি করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ই এই সেশনগুলো করত। এরপর ফাইনালের দিন এসে আমায় জিজ্ঞাসা করেছিল, যে ছুটি নিতে পারে কিনা ওইদিন। পন্তের এখন যা ফিটনেস, তাতে আগামী একবছর ও চালিয়ে দিতে পারবে। সেই কারণে দুটো শতরান করার পরেও ওকে এত ভালো কিপিং করতে দেখা গেছে অত দীর্ঘ সময় ধরে ’।
নিজের দুটি শতরানের পর ঋষভ পন্তের টেস্ট ক্রমতালিকায় উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছেন। বুধবার থেকে বার্মিংহ্যামে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ।