মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা সাকিব আবদুল হামিদ নাচানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২-০৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত নাচানকে এই সপ্তাহের শুরুতে ব্রেন স্ট্রোক করার পর ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সোমবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ তাকে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। বুধবার সকালে আইএসআইএস নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সামশের আনসারি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রবিবার মহারাষ্ট্রের পাদঘার কাছে বোরিভালি গ্রামে নাচানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার পরে ইসলামিক স্টেট সংগঠনের ভারতীয় ইউনিটের কথিত প্রধান ৬৭ বছর বয়সি এই ব্যক্তিকে তিহাড় জেলে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পাদ্ঘা থেকে নাচানসহ আরও ১৫ জন সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাচানের আইনজীবী আরও জানান, এর আগে ২০২১ ও ২০২৩ সালে দু'বার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। দ্বিতীয় স্ট্রোকটি ঘটেছিল এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে। ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) প্রাক্তন পদাধিকারী সাকিব নাচানকে ২০০২-০৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এনআইএ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে পদ্ঘা থেকে আটক নাচন এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা তাদের বিদেশী হ্যান্ডলারদের নির্দেশে কাজ করছিল। তারা আইএসের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরিসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। নাচন এবং কর্মীরা পদ্ঘা গ্রামকে একটি ‘মুক্ত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করেছিল, প্রভাবশালী মুসলিম যুবকদের গ্রামে স্থানান্তরিত করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এনআইএ জানিয়েছে যে নাচন ধৃত গোষ্ঠীর স্বঘোষিত নেতা ছিলেন এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানকারীদের প্রশাসনিক 'বায়াথ' (আইএসআইএস-এর খলিফার প্রতি আনুগত্যের শপথ) অধিকার গ্রহণ করেছিলেন।