ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মা তীব্র ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হন এবং তাঁকে ‘গোল্ড-ডিগার’ তকমাও দেওয়া হয়। তবে, দেখা গেল এসব কটাক্ষে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ ধনশ্রী। এবং এই নিয়ে মস্করা করতেও দেখা গেল তাঁকে।
রিয়েলিটি শো 'রাইজ অ্যান্ড ফল'-এ অংশ নিয়েছেন ধনশ্রী। আর আসন্ন পর্বের প্রোমোতে দেখা গেল প্রতিযোগীদের জুটি করা হয়েছে এবং তাঁদের ২ লক্ষ টাকার সোনার ব্যাগ এবং ১ লক্ষ টাকার রুপোর ব্যাগের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। ধনশ্রী অভিনেতা অর্জুন বিজলানির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন, যিনি ধনশ্রীকে বলেছিলেন যে, হিরে বা রূপো, কোনোটাই তাঁকে মানায় না, শুধুমাত্র সোনা মানায়। অর্জুন বলেছিলেন, ‘দেখো, আমাকে হিরে বা রুপো কোনোটাই মানায় না। আমাকে শুধু সোনা মানায়’।
যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় প্রথমবার দেখা হয়। এবং তাঁরা একে-অপরের প্রেমে পড়েন ও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে খবর, ২০২২ থেকেই সুখের দাম্পত্যে ফাটল ধরে। আলাদা থাকা শুরু করেন দুজনে। এবং ২০২৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এবং ৫ ফেব্রুয়ারি দুজনের মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়।
চাহালের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর, ধনশ্রী তীব্র ট্রোলের মুখোমুখি হন। এমনকী, ডিভোর্সের শুনানির দিন চাহালের টি-শার্টে লেখা বার্তা ‘বি ইয়োর ওন সুগার ড্যাডি’ বার্তা রীতিমতো ঝড় তোলে নেটপাড়ায়। খোরপোশে ৪.৭৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ধনশ্রী জানার পর থেকে, নামের পাশে সেঁটে দেওয়া হয় ‘গোল্ড ডিগার’ তকমা।
সম্প্রতি হিউম্যানস অফ বোম্বে-র পডকাস্টে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ধনশ্রী স্বীকার করেছেন যে, তিনিও অবাক হয়েছিলেন। জানান, ডিভোর্স শুনানির শেষ দিন আদালতে তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর আগেই বেরিয়ে যান চাহাল। তিনি যখন আদালত থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে বসেন, জানতে পারেন চাহালের টি-শার্টে লেখা সেই বার্তা। আর তখন বুঝতে পেরেছিলেন, বৃথাই তিনি এত কান্নাকাটি করছেন। কষ্ট পাচ্ছেন। এমনকী, ধনশ্রী স্পষ্ট করেছেন তিনি নতুন করে জীবন শুরু করতে প্রস্তুত। অতীতকে আর পিছনে ফিরে দেখতে চান না।