রোহিত সরফের অন-স্ক্রিন ইমেজ ছিল পাশের বাড়ির ছেলের মতো। সেই ভাবেই তাঁকে দর্শকরা 'মিসম্যাচড' বা ‘ইশক ভিশক রিবাউন্ড’-এ (২০২৪) দেখে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি, অভিনেতা তাঁর আসন্ন সিরিজ ‘দ্য রেভোলিউশনারিজ’-এর ফার্স্ট লুকে প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে তাঁর পুরানো ইমেজ একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই রূপান্তর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল।’
আরও পড়ুন: রজনীকান্তের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন কমল হাসান? 'কোনও প্রতিযোগিতা নেই…', যা বললেন অভিনেতা
রোহিত আরও বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে আমার জার্নি সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং ছিল। ছোটবেলায় আমি একজন নৃত্যশিল্পী ছিলাম, তাই আমার ফিটনেস সেখান থেকেই এসেছে। আমি কখনওই ফিট থাকার জন্য জিমে যেতে চাই না বলে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু যখন আমি বড় হলাম এবং আমার কাজগুলো দেখতে শুরু করলাম, তখন এটা আমার জন্য একটি বাধ্যবাধকতা বলে মনে হল।’
তারপর তাঁর কাছে আসে ‘সানি সংস্কার কী তুলসী কুমারী’ এবং পরিচালক শশাঙ্ক খৈতানই তাঁকে ২৮ বছর বয়সে ফিটনেসের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এই প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, 'এটা চরিত্রের জন্য প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু তিনি আমাকে অন্যভাবে দেখাতে চেয়েছিলেন।' রোহিত জানান তিনি এটা উপভোগ করতে শুরু করেন। তাঁর কথায় ‘অদ্ভুত ভাবে, আমার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও একটা শৃঙ্খলার অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। আমি কী খাচ্ছিলাম, আমার সময়সূচী, আমার ঘুম, সবকিছুই নিয়মিত ওয়ার্কআউট রুটিনের কারণে ঠিকঠাক সময় করতে শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: অনন্যার প্রথম বাড়ি সাজিয়ে দেন গৌরি! ‘তোমার থেকে ভালো…’, যা বললেন নায়িকা
এমনকি ‘দ্য রেভোলিউশনারিজ’-তেও তিনি সেই পথই ধরেছিলেন। তাঁর কথায় ‘আমি জানতাম যে আমাকে এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে যেখানে আমাকে আমার চরিত্রে শার্টবিহীন থাকতে হবে। পরিচালক নিখিল আডবানীর মনের মতো একটি নির্দিষ্ট শারীরিক গঠন থাকতে হবে। আর এখন, আমি আমার জীবনের এমন একটা দিন কল্পনাও করতে পারি না, যখন আমি ব্যায়াম করব না বা আমি কী খাচ্ছি সে সম্পর্কে সচেতন থাকব না’।
রোহিত তাঁর ভক্তদের কাছে তাঁর নতুন লুক প্রকাশ্যে আনার আগে প্রায় ছয় মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর রূপান্তরের নানা ঝলক দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু এটা কোনও পরিকল্পিত বিষয় ছিল না। তিনি বলেন, ‘আগে শার্টলেস ছবি পোস্ট করতে আমি একটু লজ্জা পেতাম কারণ আমি কখনও তা করিনি। এছাড়াও, আমি বিশ্বাস করতাম যে, দর্শকরা প্রথমবারের মতো আমাকে শার্টলেস দেখলে তাঁদের ভালো লাগবে কিনা। যদি এটা কোনও কাজের জন্য হয় তাও ঠিক আছে। তা না হলেও তাতে কোনও ভুল নেই। তবে যখন এটা কোনও কাজের জন্য হয় তখন আমার মনে হয় এটা আরও বেশি গ্রহণ যোগ্যতা পায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে আমি আমার অস্তিত্ব বদলে ফেলেছি, এটা আমার আরও একটা এক্সটেনশন মাত্র। কিছুটা ধাক্কা অবশ্যই লেগে ছিল কারণ অনেকেই আমাকে কখনও এভাবে দেখেনি। এই পুরো জার্নি আমার জন্য যা দিয়েছে, তাতে আমি খুশি, কেবল শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও। আমি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি, যা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।’