অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন যে তিনি মুম্বইতে নিজের বাড়ি কিনেছেন। অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন যে তাঁর বাড়িটি অন্য কেউ নয় বরং গৌরি খান ডিজাইন করেছেন। এনআইএফ গ্লোবালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। অনন্যা গৌরীকে 'দ্বিতীয়-মা' বলে মনে করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তাঁর নতুন বাড়িতে কীভাবে কাজ করেছিলেন গৌরি।
যখন অনন্যাকে গৌরি খানের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন নায়িকা বলেছিলেন, 'সত্যি বলতে, গৌরি খানকে দিয়ে আমার বাড়ি ডিজাইন করানো একটা আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ আমি ওঁর কাছেও বড় হয়েছি। ও প্রায় আমার কাছে দ্বিতীয় মা। তিনি আমাকে চিনতেন, বুঝতেন আমি কীরকম। ও এমন, যদি আমি সুহানা (গৌরির মেয়ে) এর জন্য এটা করতাম, তাহলে আমিও একই রকম কিছু করতাম।'
নায়িকা আরও বলেন ‘তিনি আমার জন্য সবকিছু খোলা রেখেছিলেন। গৌরি ম্যাডামের সম্পর্কে আমার যা ভালো লেগেছে তা হল, যদিও তিনি আমাকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন, তবুও তিনি আমার মত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতেন। তিনি বুঝতেন যে এটা আমার প্রথম বাড়ি এবং আমি এটা এক রকম ভাবে করতে চাই। তাই তিনি কখনও ওঁর মতামত বা সিদ্ধান্ত খুব বেশি প্রকাশ করেননি। তিনি এটা আমার জন্যই ছেড়ে দিতেন।’
অনন্যা আরও বলেন, 'সবকিছুই ছিল একটি প্রশ্ন বা কথোপকথনের মতো। বাড়ির অভ্যন্তরীণ নকশা এত ব্যক্তিগত বিষয়, সেখানে এটা সেই ডিজাইনারের জন্য একটা কাজ হতে পারে, তবে এটা এমন কারোর বাড়ি, যেখানে সে ও তাঁর পরিবার প্রতিদিন কাটাবে। তাই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
অনন্যা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গৌরিকে তাঁর বাড়ি ডিজাইন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, 'আমার প্রথম বাড়ি। আমার স্বপ্নের বাড়ি (রেড হার্ট ইমোজি)। ধন্যবাদ @gaurikhan। আমি ঠিক কী চাই তা তোমার থেকে ভালো আর কেউ বুঝতে পারেনি। এটা আমার জন্য এত বিশেষ করে তুলেছেন। আপনিই সেরা, আপনাকে ভালোবাসি!!!'
কাজের সূত্রে, ‘তু মেরি ম্যায় তেরা, ম্যায় তেরা তু মেরি’ ছবিতে কার্তিক আরিয়নের সঙ্গে অনন্যাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা। সমীর বিদ্ব্যান্স পরিচালিত এই ছবিটি করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন দ্বারা প্রযোজিত। এটি ২০২৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।