ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ বলছেন, ' সূর্যকুমার যাদবের ফাইনাল ম্যাচে ক্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে অক্ষর প্যাটেলের নেওয়া মিচেল মার্শের এক হাতে ক্যাচ বা ম্যাথিউ ওয়েডের ক্যাচ কুলদীপ যেভাবে নিয়েছিল, অসাধারণ ছিল। তাই কোনও একটি ক্যাচকে পছন্দের বলব না, কারণ প্রতিটি ক্যাচের ম্যাচ অনুযায়ী গুরুত্ব আছে। '
সূর্যকুমার যাদব। ছবি- এএফপি
বিশ্বক্রিকেটে বহু প্রচলিত একটা কথা হচ্ছে, ক্যাচেস উইন ইউ ম্যাচেস। অর্থাৎ ফিল্ডিংকে জোর দিতে গিয়েই এই মন্তব্য সাধারণত করে থাকেন ক্রিকেটার বা বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে প্রায় সব দলকেই দেখা যায়, ফিল্ডিংয়ের জন্য আলাদা কোচ রাখতে, অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। তবে এখন ফিল্ডিং কোচ দলে নেওয়া নিয়েও দড়ি টানাটানি চলে। যেমন দুর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবে খ্যাত জন্টি রোডসকে দলে নিয়ে অনেকেই চায়। অতীতে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। এরপর লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়েও ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন, একাধিক দেশের বোর্ডের প্রস্তাবও তাঁর কাছে আসে। এবারে ভারতীয় দলের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের বড় কারণ ফিল্ডারদের অনবদ্য পারফরমেন্স। শুধু ফাইনাল ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচই নয়, গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই ভালো ক্যাচ নিয়েছে অক্ষর প্যাটেলরা।
গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় দলের মধ্যে ফিল্ডিং নিয়ে এক স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলে আসছে। গতবার দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপেও দেখা গেছিল, টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডারদের ম্যাচের শেষে ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য পদক দেওয়া হত, এক্ষেত্রে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপই দায়িত্ব নিতেন সেরা ফিল্ডার বাছাইয়ের। তাঁর পারফরমেন্স ফিল্ডিং কোচ হিসেবে যথেষ্টই ভালো, সেই তিনিই টি২০ বিশ্বকাপের পর জানালেন একাধিক খুটিনাটি।
ভারতীয় দলের হয়ে এতদিন ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করার পর অবশেষে ইতি হয়েছে তাঁর চুক্তির। আর শ্রীধরের জায়গায় তিনি দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রভূত উন্নতি করিয়েছেন দলের ফিল্ডিংয়ে। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টি দিলীপ বলেন, ‘আমি মুম্বইতে এত মানুষের ভিড় দেখে অবাক হয়ে গেছি, এখন বুঝতে পারছি কেন ক্রিকেট এত জনপ্রিয় এই দেশে। সূর্যকুমার যাদবের ওরকম ক্যাচ, যেটা ম্যাচের ফল নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল ট্রফি জেতার ক্ষেত্রে, সেটার জন্য নিজেকে গর্বিত বোধ করছি। এবারে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং সামগ্রিকভাবে ভালোই হয়েছে। বিভিন্ন মাঠে খেলায় ক্রিকেটারদের এমনিতে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়েছিল, কাজটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে বলতে পারি, ওরকম একটা ক্যাচ ম্যাচের ফল নির্ণয় করায় আমি খুব খুশি, এটা আমার সেরা অনুভূতি। আমি ঠিক কথায় বলে বোঝাতে পারব না, এই বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ঠিক কতটা। গতবার কাছাকাছি এসেও বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল’।