আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। চার দিনের এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনকে ঘিরে বিশেষ জল্পনা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অধিবেশনে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য দুটি আলাদা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে বুথের সংখ্যা, সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন
জানা যাচ্ছে, প্রথম প্রস্তাবটি বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী মানুষের উপর হওয়া হামলা ও অপমানজনক আচরণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, গত কয়েক মাসে রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশায় বাংলার শ্রমিকদের মারধর, হেনস্থা এমনকি কাউকে কাউকে বাংলাদেশে পুশব্যাক পর্যন্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই সরব। তাঁর উদ্যোগেই বিশেষ অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সমীক্ষা বা স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিউ (এসআইআর) ঘিরে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই প্রক্রিয়া রাজ্যে চালু করতে চাইছে কমিশন।
তৃণমূলের আশঙ্কা, এই উদ্যোগের জেরে বহু ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। তাই অধিবেশনে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানাতে চাইছে শাসকদল। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনে শোকপ্রস্তাবের পর দিনের কাজ মুলতবি রাখা হবে। মঙ্গলবার বাংলাভাষী ও বাঙালিদের উপর ভিনরাজ্যে আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হতে পারে। বুধবার করমপুজোর কারণে অধিবেশন বসবে না। বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে ভোটার তালিকা সমীক্ষার বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে বাংলার অস্মিতা ও ভাষার প্রশ্নকে সামনে রেখেই আন্দোলন জোরদার করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কৌশলেরই অঙ্গ এই বিশেষ অধিবেশন।অন্য দিকে, বিরোধী বিজেপি আপাতত পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থানে। বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ঘোষণার পরই তারা পাল্টা কৌশল নেবে বলে সূত্রের খবর। শুভেন্দু অধিকারী দলীয় বিধায়কদের আপাতত এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।