বিধানসভা ভোটের আগে ফের উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। ফের খুন তৃণমূল কর্মী। মাথাভাঙার জোরপাটকি এলাকায় প্রকাশ্যে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম সঞ্জয় বর্মণ (৩৭)। অভিযোগ, বচসা মেটাতে গিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ২ TMC কর্মী খুনে কংগ্রেস-সিপিএমের ১২ জনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আদালতের
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণের মধ্যে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময় পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে যান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সঞ্জয়। অভিযোগ, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে চড়াও হয় দুই অভিযুক্ত। প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও থামেনি হামলাকারীরা। ধারাবাহিক মারধরের জেরে গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবার দাবি করেছে, এটি নিছক গন্ডগোলের জেরে ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সঞ্জয়ের কাকা ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মণ অভিযোগ করে বলেন, ভাইপোকে ফাঁদে ফেলে খুন করা হয়েছে। শুধু ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে এতটা নৃশংসভাবে মারা হয়েছে, এটা স্পষ্ট পরিকল্পিত।
অন্যদিকে, জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ ঘটনার নিন্দা করে বলেন, অভিযুক্তরা কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য নয়। তাঁরা দুষ্কৃতী। তাই চাই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণকে গ্রেফতার করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত গন্ডগোলকে কেন্দ্র করেই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হলেও, এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জেলা নেতৃত্বের দাবি, ভোটের মুখে দলের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ বাড়ছে। অভিযুক্তদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে তারা।