সাইয়ারা-র সুবাদে গোটা দেশের নয়নের মণি আহান পান্ডে। সমালোচকদের কথায়, হৃতিক রোশনের পর এই প্রথম কোনও নবাগত এতটা হইচই ফেলতে পেরেছেন দর্শক মনে। বক্স অফিসেও সুনামি এনেছে সাইয়ারা। এখন সারা দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের হার্টথ্রব আহান পান্ডে।
লাখো ক্যামেরার ঝলকানি, নাম-যশ-খ্যাতি সবটাই এনজয় করছেন অনন্যা পান্ডের তুতো ভাই। তবে বছর কয়েক আগে বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন আহান। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নেমে এসেছিল বিপর্যয়, নায়ক হওয়ার আত্মবিশ্বাসটাই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল কাছের মানুষকে হারানোর পর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী এই তারকা জানান, অভিষেকের আগেই তিনি তাঁর কাছের মানুষকে হারিয়েছেন তিনি। আহান পান্ডে তার ব্যক্তিগত ক্ষতি এবং সাইরায়া হাতে আসার আগে অনিশ্চিত কয়েক বছরের মুখোমুখি হওয়ার কাহিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। করোনাকালের জন্য আহানের ডেবিউ পিছিয়ে যায়। এই সময়ই ব্যক্তিগত ক্ষতির মুখে পড়েন সাইয়ারা তারকা।
তিনি দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে বলেছিলেন, ‘আমাকে নিজেকে বারবার বলতাম বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। কারণ জিনিসগুলি আমি যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে চলছিল না। আমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যা আমাকে ভেঙে ফেলেছিল। আমার কাছের একজনকে আমি হারিয়ে ফেলি চিরতরে এবং তিনি আমার মেরুদণ্ড ছিলেন; তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমার বাড়িতে প্রতিদিন আমাকে বলতেন আমি হিরো হতে পারব এবং আমি মনে করি যখন তিনি (মারা গেলেন) তখন সেই আত্মবিশ্বাসটি ভেঙে যেতে শুরু করেছিল; এটি মোকাবেলা করার একমাত্র উপায় ছিল কাজ চালিয়ে যাওয়া, এবং আমি সেটাই করেছি’।
আহানের সেই কাছের মানুষ আর কেউ নন, তাঁর ঠাকুমা স্নেহলতা পান্ডে। চিক্কি এবং চাঙ্কি পান্ডে। আহান সাইয়ারা সই করার তিন বছর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি মারা যান স্নেহলতা দেবী। মোহিত সুরির সাইয়ারা ছবিতে অভিনয়ের আগে আহান বেশ কয়েকটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি সবসময় নিজেকে মনে করিয়ে দিতাম: একটি সেটে সহায়তা করা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য একটি স্বপ্ন। শিল্পকে অনুসরণ করতে সক্ষম হওয়া একটি বিলাসিতা; বেশির ভাগ মানুষই এটা করতে পারেনি, কিন্তু আমি পেরেছি। এটাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।’
যশরাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার জহুরির চোখ আহানকে চিনতে ভুল করেননি। তিনি তাঁকে লঞ্চ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপই মোহিত সুরির সাইয়ারা ছবিতে সুযোগ পান আহান। বিপরীতে নবাগতা অনীত। এই মিউজিক্যাল লাভ স্টোরি বক্স অফিসে রেকর্ড ভেঙে ৫৬৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এখন পর্যন্ত কোনও নবাগত জুটির সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি এটি।