গত বছর নভেম্বর মাসে জন্ম হয় কৃষভির। এখনও কাঞ্চন কন্যার ১ বছর পূর্ণ হয়নি, তার মধ্যেই ঘটে গেল একটি অঘটন। গত ২৬ অগস্ট কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী জানতে পারেন, যে আয়ার কাছে তাঁরা মেয়েকে রেখে যান, তিনি নাকি কৃষভির কান্না থামাতে তাকে উপুড় করে শুইয়ে মারধর করেছে।
এই গোটা ঘটনাটি জানতে পারার পরেই ওই আয়াকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন শ্রীময়ী। অভিযুক্ত যে শুধুমাত্র একরত্তিকে মারধর করেছে তা নয়, বাড়ি থেকে রুপোর থালা, প্রদীপ এবং কাঁসার বাসনও চুরি করেছে বলে অভিযোগ কাঞ্চন শ্রীময়ীর।
ঘটনার ৪ দিনের মাথায় সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘শুধু আমার সন্তান বলে বলছি না, যে সমস্ত বাবা-মায়েররা সন্তানকে আয়ার কাছে রেখে কাজে যান তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক হতে হবে। আয়া সেন্টারের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শ্রীময়ী বলেন, আয়া সেন্টারগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
শ্রীময়ী আরও বলেন, ‘শুধু ছোট ছোট শিশু নয়, বৃদ্ধ বৃদ্ধাদেরও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নেতা বা অভিনেতা নয়, একজন মানুষ হিসাবে যে একটি ছোট্ট বাচ্চাকে যে আঘাত করতে পারে সে ভবিষ্যতে একজন দাগি আসামি প্রমাণিত হতে পারে। এই সমস্যা শুধু আমার একার নয়, অনেকেই আছেন যারা আমাকে বলেন, আয়ার ভরসায় তারা তাদের বাড়ির লোককে রেখে যেতে পারছেন না।’
আয়া সেন্টারগুলির উদ্দেশ্যে শ্রীময়ী বলেন, ‘আপনাদের আগে দেখতে হবে আপনারা যাকে কারও বাড়ি পাঠাচ্ছেন তাঁরা কেমন। কারও আধার কার্ডের ঠিক নেই তো কারও স্বামীর নাম ঠিক নেই আধার কার্ডে। কারও চর্মরোগ রয়েছে তো কারও আবার মাথায় উকুন। টাকা নেওয়ার পরেও যদি আপনারা এগুলি না দেখেন তাহলে কিছু বলার নেই।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর ওর ফোন দেখে জানতে পারলাম আমার মেয়েকে নিয়ে রিল তৈরি করা হয়েছে। এগুলো আমি জানতামই না। আমাদের সকলকে নিজেদের সতর্ক হতে হবে না হলে প্রশাসন কিছুই করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
সবশেষে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমি আগেও প্রতিবাদ করেছি। এখনও প্রতিবাদ করছি, ভবিষ্যতেও করব। কাঞ্চন কিছু বলুক বা না বলুক আমি বলবই। আমার কাছে আমার কাছের মানুষের জীবন খুবই দামী। কে কি বলল তাতে আমার কিছু এসে যায় না।’
প্রসঙ্গত, শ্রীময়ীর সন্তান এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। তবে মেয়েকে নিয়ে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর একটাই চিন্তা, এবার কার ভরসায় মেয়েকে বাড়িতে রেখে যাবেন তাঁরা?