কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে গিয়ে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। চেন্নাইয়ে নির্মাণকাজে যোগ দিতে গিয়ে মৃত্যু হল পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির এক পরিযায়ী শ্রমিকের। একই সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তাঁরই গ্রামের আরও এক যুবক। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু, শ্রমিকের পরিবারকে সাহায্য রাজ্যের
মৃত শ্রমিকের নাম নন্দলাল ঘাটুয়াল (৪৫)। বাড়ি বাঘমুণ্ডির সুইসা তুনতুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নওয়াডি গ্রামে। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই পরিবার ও পাড়াপড়শিরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। নন্দলালবাবুর মৃতদেহ চেন্নাই থেকে গ্রামের বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। একই গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ ঘাটুয়াল ওরফে মিঠুন একই দলে কাজের উদ্দেশ্যে চেন্নাই গিয়েছিলেন। তাঁর খোঁজ মিলছে না। মঙ্গলবার পর্যন্ত যোগাযোগ না পাওয়ায় পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার নন্দলালবাবু-সহ মোট আটজন শ্রমিক একসঙ্গে গ্রাম থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। নন্দলালবাবুর জামাই হরিহর ঘাটুয়াল বলেন, তাঁর শ্বশুরমশাই অসুস্থ বোধ করছিলেন, মাথা ব্যথার কথাও জানিয়েছিলেন। হঠাৎ খবর আসে তিনি মারা গিয়েছেন। কীভাবে মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। চেন্নাইয়ে থাকা সঙ্গীরা দেহ আনার ব্যবস্থা করছে। নিখোঁজ মিঠুনের ভাগ্নি বিজয়া ভুঁইয়ার কথায়, শনিবার তাঁর মামা অন্যদের সঙ্গে চেন্নাই যান। কাজের জায়গায় পৌঁছনোর খবরও পাই। কিন্তু তার পর থেকেই যোগাযোগ নেই। ফোন বন্ধ। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও তাঁর হদিশ কেউ দিতে পারছে না। প্রশাসন দ্রুত তাঁকে খুঁজে বের করুক।
ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের আবহ। তুনতুড়ি সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অষ্টমী কুইরি জানান, একই গ্রামের কয়েকজন শ্রমিক একসঙ্গে কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আসলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারগুলির পাশে আছেন। চেন্নাইয়ে মৃতদেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে নিখোঁজ যুবকের হদিশ না মেলায় গ্রামজুড়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।