আগামী বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার সংখ্যার নিরিখে বুথের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে চলেছে প্রায় ১৪ হাজার বুথ। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে এমন বুথ, যেখানে ভোটার সংখ্যা ১২০০-র বেশি। সেই বুথগুলো ভেঙেই তৈরি হবে নতুন বুথ। এই প্রসঙ্গেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর। বৈঠক হবে আগামী ২৯ অগস্ট, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সিইও দফতরে।
আরও পড়ুন: কমিশনের চাপে একটু মাথা নোয়াল মমতা সরকার! ডায়মন্ডের ২ অফিসার-সহ ৭ IPS-র বদলিও হল
বর্তমানে রাজ্যে বুথের সংখ্যা রয়েছে ৮০ হাজারের সামান্য বেশি। নতুন করে প্রায় ১৪ হাজার বুথ যোগ হলে মোট বুথসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৯৪ হাজারে। কমিশন সূত্রে খবর, সর্বদলীয় বৈঠকে নতুন বুথ কোথায় কোথায় গড়া হবে এবং তার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের মতামতও শোনা হবে। নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রতি বুথে সর্বাধিক ১২০০ ভোটার রাখার নিয়ম করা হচ্ছে। তার বেশি নয়। বুথ সংখ্যা বাড়ার মূল কারণই হল, ভোটারদের সুবিধা এবং ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া আরও নির্বিঘ্ন করা। তবে কমিশনের তরফে এটাও জানানো হয়েছে, বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) সম্পূর্ণ হলে বুথসংখ্যার পুনর্বিন্যাসও হতে পারে। কারণ, সেই সমীক্ষায় মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ভুয়ো ভোটার বাদ পড়লে বুথের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।
অন্যদিকে, নতুন বুথ বৃদ্ধির ফলে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) নিয়োগের চাপ বাড়বে কমিশনের ওপর। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রতিটি বুথের জন্য ব্লো নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক হবে। তারাই বুথস্তরে বিশেষ সমীক্ষার কাজ করবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই সব রাজ্যের সিইওদের চিঠি পাঠিয়েছে ২৯ অগস্ট বিকেল পাঁচটার মধ্যে এসআইআর প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্যের সিইও দফতরও সেই নির্দেশ পেয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বুথ সংখ্যা বাড়লে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে বিরোধী শিবিরের জন্য। প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানো যাবে কি না, বিশেষ করে বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) দেওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কারণ, প্রায় ১৪ হাজার বুথ একসঙ্গে বাড়লে সংগঠনগতভাবে সব দলেরই বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে।