সাংহাই কর্পোরেশন সামিট হতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। সারা বিশ্বের ২০টি দেশের শীর্ষস্তরের নেতাব্যক্তিরা যোগ দিচ্ছে এই বিশেষ সামিটে। তার আগেই প্রযুক্তির নিরিখে একের পর এক চমক দেখা যাচ্ছে সামিট চত্বরে। ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট দুদিনের সামিট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চিনের তিয়ানজিনে। ৩১ অগস্টের সামিটের আগেই সেখানে দেখা গেল হিউম্যানয়েড রোবট।জিয়াও হে নামের এই রোবটটি বিশেষভাবে তৈরি সব সাংবাদিকদের সাহায্য করার জন্য।
কী বলল তরুণী রোবট?
শীর্ষ সম্মেলনের আগে রোবটটি কথা বলে সংবাদ সংস্থা ANI-এর সঙ্গে। রোবটটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জিয়াও হে। ২০২৫ সালের তিয়ানজিনে সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশন সামিটের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি অত্যাধুনিক হিউম্যানয়েড এআই সহকারী। আমি বিভিন্ন ভাষায় আপনাদের সহযোগিতা করতে পারি। রিয়েল-টাইম তথ্য দিতে পারি। প্রোটোকল মেনে কথা বলতে পারি।’
কী কী কাজ?
এর পাশাপাশি হিউম্যানয়েড জিয়াও হি বলে, ‘আমার সিস্টেম আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং শীর্ষ সম্মেলন আয়োজকদের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করবে। আমার অ্যালগরিদম, লার্নিং মডিউল এবং তথ্যের ডাটাবেস আপনাদের সাহায্য করার জন্য। আমার কাজ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন তথ্যগত দিকটি বজায় রাখা। ’
কোন কোন ভাষা জানে জিয়াও?
প্রসঙ্গত, সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের এই রোবটটি তিনটি ভাষায় দক্ষ। জিয়াও হে-র কথায়, ‘আমার ভিতরকার সিস্টেম দেশি ও বিদেশি দুরকম মিডিয়ার কথা ভেবেই প্রোগ্রাম করা হয়েছে।’ এর পর অনুষ্ঠানে কী কী প্রদর্শন করা হবে, তার একটি বিবৃতি দেওয়া দেয় রোবটটি।
ভারতের যোগদান
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল SCO। বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থাগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। এর পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ইরান। বেলারুশ, আফগানিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া হল পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য জাপানে দুই দিনের সরকারি সফরে ছিলেন। এর পরেই তিনি উড়ে যান চিনে, সাংহাই কর্পোরেশনের সামিটে যোগ দিতে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।