কিংবদন্তি অভিনেতা এবং পদ্মশ্রী আল্লু রামালিঙ্গাইয়ার স্ত্রী তথা আল্লু অর্জুনের ঠাকুমা আল্লু কনকরত্নম প্রয়াত। তিনি দক্ষিণী তারকা রামচরণের দিদিমাও। শনিবার ৯৪ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন আল্লু কনকরত্নম। এই খবর শোনার পরে, আল্লু অর্জুনকে মুম্বাই থেকে দ্রুত হায়দরাবাদে ফেরেন।
অন্যদিকে অভিনেতা চিরঞ্জীবী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন বার্তা লিখেছেন। চিরঞ্জীবী তাঁর শাশুড়ির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমাদের শাশুড়ি... শ্রী আল্লু রামালিঙ্গাইয়া গারুর স্ত্রী কনকরত্নম্মা গারুর মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। আমাদের পরিবারের প্রতি তিনি যে ভালবাসা, সাহস এবং জীবনে যে মূল্যবোধ দেখিয়েছিলেন তা চিরকাল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তার পবিত্র আত্মা যেন শান্তি পায়। ওম শান্তি।’
শনিবার ভোর ১টা ৪৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লু কনকরত্নম। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, শনিবার বিকেলে কোকাপেটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর নাতি রাম চরণ মহীশূরে আসন্ন সিনেমা পেড্ডির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তবে কঠিন সময়ে পরিবারের সাথে থাকার জন্য শুটিং ফেলে হায়দরাবাদে ফিরেছেন রামচরণ।
অ্যাটলির ছবির জন্য মুম্বইয়ে থাকা আল্লু অর্জুনকেও মুম্বই থেকে হায়দরাবাদে ফিরে আসতে দেখা যায় ঠাকুমাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সমবেদনা জানানোর জন্য প্রয়াত কনকরত্নম দেবীর মরদেহ তার ছেলে আল্লু অরবিন্দের বাড়িতে রাখা হয়েছে।
ঠাকুমার সঙ্গে আল্লু অর্জুনের নিবিড় বন্ধনের কথা কারুর অজানা নয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, যখন অভিনেতা পুষ্পা ২: দ্য রুলের প্রিমিয়ারের সময় হায়দরাবাদে এক ভক্তের মৃত্যুর পরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নাতি জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই তাঁর ঠাকুমা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এবং অভিনেতাকে কুনজর থেকে বাঁচার জন্য পুজো করেন। ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল।