রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৮জনকে। রেহাই পায়নি শিশু ও মহিলারাও। এদিকে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের একাংশের দাবি, পুলিশের সামনেই এই নৃশংস ভয়াবহ হত্য়াকাণ্ড হয়েছিল। পুলিশ একটু তৎপর হলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হত না। পুলিশের বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পরপরই স্থানীয় থানার আইসি ও এসডিপিওকে ক্লোজ করা হয়েছিল। এদিকে ঘটনার পরেই গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়েও বড় অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি একেবারে স্থানীয়স্তরে কাজ করা সিভিক ভলান্টিয়াররা আদৌ কতটা সক্রিয় হয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চরম নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে বার বার। আর তার নিরিখে বুধবার আরও ১২জন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হল। সূত্রের খবর, আইসি, এসডিপিও সহ মোট ১৪জন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট ইনটেলিসেন্স ব্যুরোর ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠেছে। সেকারণেই ডিআইবি ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ১২জনকে ক্লোজ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেদিন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরে দলে দলে দুষ্কৃতীরা বগটুইতে জড়ো হয়েছিল। সেই খবর কেন পেল না পুলিশ? মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসডিপিও আইসিকে সরিয়ে দিয়েছি। আইবি, ডিআইবিকেও বলেছি সরিয়ে দিতে। ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে।