জল্পনা ছিলই, সেই জল্পনাই সত্যি করে রবিবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে) প্যারিস সাঁ-জাঁ জার্সিতে অভিষেক ঘটল লিওনেল মেসির। তবে জোড়া গোল করে স্টাড ডে রেইমসের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে দলকে জেতালেন কিলিয়ান এমবাপে।
এদিন তারকাখচিত পিএসজি দলে প্রথম এগারোয় প্রত্যাবর্তন ঘটে মেসির। তবে মেসি ম্যাচ শুরু করেননি, বরং তাঁকে বেঞ্চেই রেখেছিলেন মরিসিও পচেতিনো। অপরদিকে, এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে তাঁর বিন্দুমাত্র লেশও নিজের খেলায় পড়তে দেননি তারকা ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় অ্যাঞ্জেল ডি'মারিয়ার ক্রস থেকে হেডে, প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপেই। প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ ছিল প্যারিসের দলের হাতেই। তবে ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকায় দাপট দেখাতে দেখাতেই সামান্য মনোযোগ ভঙ্গ হয় পিএসজি তারকাদের। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় রেইমস।
মরেটোর ক্যাসামার শট পিএসজি বারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করে পিএসজির জালে বল জড়িয়ে দেন জিম্বাবোয়ান মার্শাল মুনেটসি। তবে অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। তবে ৬৩ মিনিটে এমবাপের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে পিএসজি। তাঁর ঠিক তিন মিনিট পরেই অবশেষে পিএসজি জার্সি পরে মাঠে নামেন মেসি।

এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি ছিল। স্ট্যান্ড থেকে উঠে মেসি-মেসি রবও। ৬৬ মিনিটে নেইমারের বদলে মাঠে নামেন মেসি। ফলে এমবাপ যদি নিতান্তই দল ছাড়েন, তাহলে সমর্থকদের আশা মতো নেইমার-এমবাপে-মেসি জুটিকে একসঙ্গে মাঠে দেখা যাবে না। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ান তালিকায় শীর্ষে নিজের স্থান ধরে রাখল পিএসজি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।