দিল্লির রিং রোডে বিএমডব্লিউ-র ধাক্কায় মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের উপসচিব নবত্যোজ সিংয়ের (৫২)। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌরও। অবশেষে সোমবার এই ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালক এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দুর্ঘটনার সময়ে মহিলার সঙ্গে গাড়িতে তাঁর স্বামী পরিক্ষিত মাক্কাদও ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-মাস্কের কোম্পানির স্টিয়ারিংয়ে ভারতীয়রা! Tesla-র বিরুদ্ধে আদালতে আমেরিকানরা: Report
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম গগনপ্রীত কৌর (৩৮)। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তিনি। পাশের আসনে বসেছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁরা গুরুগ্রামে বসবাস করেন। তাঁদের বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবসা রয়েছে। পুলিশের এফআইআরে পরীক্ষিতের নামও রয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নভজ্যোত এবং তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর বাইকে চেপে বাংলা সাহিব গুরুদ্বার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।মাঝে তাঁরা কর্ণাটক ভবনে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে পিছন থেকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নভজ্যোতের। গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর। নভজ্যোত ও সন্দীপের ছেলে নভনুর জানান, দুর্ঘটনার সময়ে ওই বিএমডব্লিউ এক্স৫ গাড়িটি এক মহিলা চালাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানান, গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক মহিলা। দুর্ঘটনার পরে নভজ্যোতের বাইক রাস্তার ধারে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন-মাস্কের কোম্পানির স্টিয়ারিংয়ে ভারতীয়রা! Tesla-র বিরুদ্ধে আদালতে আমেরিকানরা: Report
দুর্ঘটনার পরে গগনপ্রীত এবং তাঁর স্বামীই একটি ট্যাক্সিতে করে নভজ্যোত এবং সন্দীপকে জিটি বি নগরের নুলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর স্ত্রী ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই এইমস বা সফদরজং হাসপাতাল থাকতেও ১৭ কিলোমিটার দূরের জিটি বি নগরের হাসপাতালে কেন নিয়ে যাওয়া হল? নিহত আধিকারিকের ছেলের দাবি, ঘটনাস্থলের কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হত নভজ্যোতকে। বারবার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও তাঁর বাবাকে ওই হাসপাতালে কে এনেছে সেই নাম জানাতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিএমডব্লিউ গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮এ, ২৮১ ১২৫বি এবং ১০৫ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ওই হাসপাতালের মালিক বিএমডব্লিউ চালকের বাবা।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই পরিচিতর হাসপাতালে নভজ্যোৎ সিং এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরে পুলিশ ঘাতক বিএমডব্লিউ গাড়িকে আটক করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছেন।