জুতোকে প্রায়শই জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। শনি কর্মফল এবং নিয়মানুবর্তিতার দেবতা। জ্যোতিষমতে, জুতো আমাদের জীবনের পথ চলাকে প্রভাবিত করে, তাই এর সঠিক ব্যবহার সৌভাগ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। আর ভুল ব্যবহার বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
জুতো কীভাবে সৌভাগ্য অর্জনে বাধা দেয়?
পুরোনো এবং ছেঁড়া জুতো: দীর্ঘদিন ধরে ছেঁড়া বা জীর্ণ জুতো পরলে শনিদেব অসন্তুষ্ট হতে পারেন। এর ফলে দারিদ্র্য এবং দুর্ভাগ্য আসতে পারে। জ্যোতিষমতে, ছেঁড়া জুতো নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে।
জুতো চুরি হওয়া: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জুতো চুরি হওয়া একটি শুভ লক্ষণ। মনে করা হয়, এর ফলে শনির অশুভ প্রভাব বা দুর্ভাগ্য কেটে যায়। তবে এই বিশ্বাস সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ঘরে জুতো রাখা: সাধারণত, শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর বা ঠাকুরঘরের মতো পবিত্র স্থানে জুতো রাখা উচিত নয়। এতে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও আর্থিক অবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
ভুল রং: শনির জন্য কালো রংশুভ। তাই শনি সম্পর্কিত সমস্যার জন্য কালো রঙের জুতো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অন্য গ্রহের অশুভ প্রভাব থাকলে সে অনুযায়ী রং নির্বাচন করা উচিত।
আরও পড়ুন -
সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করা উচিত
পুরোনো জুতো ত্যাগ করুন: নিয়মিতভাবে পুরোনো, ছেঁড়া জুতো ফেলে দিন। এটি নেতিবাচকতা দূর করে নতুন সুযোগের পথ খুলে দেয়।
সঠিক স্থানে জুতো রাখুন: জুতো সবসময় বাড়ির প্রধান দরজা থেকে দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। শোওয়ার ঘর বা ঠাকুরঘরে জুতো রাখা থেকে বিরত থাকুন।
নতুন জুতো পরিধান: বিশেষত শনিবার নতুন জুতো পরিধান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে শনিদেব প্রসন্ন হন।
আরও পড়ুন -
জুতো দান: শনিবার বা শনি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে পুরোনো জুতো গরিব বা অভাবী মানুষকে দান করা ভালো। এটি শনির অশুভ প্রভাব কমায়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জুতো: সবসময় পরিষ্কার এবং সুন্দর জুতো পরিধান করা উচিত। নোংরা জুতো নেতিবাচকতা এবং অলসতা বৃদ্ধি করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।