তাঁর নাম অবৈধভাবে ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, চলছে তাঁর নামের অপব্যবহার। এই কারণেই ঐশ্বর্য-অভিষেকের পর এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর। অভিনেতা অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাইকে হাইকোর্ট সম্প্রতি একই ধরণের মামলায় সুরক্ষা দেওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নিলেন পরিচালক। ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ কেজো।
বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অভিষেকের সম্মতি ছাড়াই বাণিজ্যিক লাভের জন্য অবৈধভাবে তার নাম বা ছবি ব্যবহার করছিল। একইধরণের সমস্যার শিকার ঐশ্বর্যও। ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে তারকাদের। তাই দিল্লি উচ্চ আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে বিনা অনুমতিতে অভিষেক কিংবা ঐশ্বর্যর নাম-ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
এদিন বিচারপতি মনমীত পিএস আরোরার বেঞ্চে ওঠে করণের মামলাটি। পরিচালকের কৌঁসুলির কাছে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তথ্য় চেয়েছেন বিচারপতি, এদিন বিকাল ৪টেয় এই মামলাটি শুনবেন তিনি।
ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার পাশাপাশি করণ জোহর নিজের আবেদনে জানিয়েছেন, তাঁর ছবি ব্যবহার করে কফি মগ, টি-শার্ট দেদার বিকোচ্ছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। সেইগুলো যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। এদিন করণ জোহরের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী রাজশেখর রাও।
অভিষেক বচ্চনের মামলার শুনানি হয়েছিল চারপতি তেজস কারিয়ার এজলাসে। তিনি রায়ে জানান,তাঁর নাম, ব্যক্তিত্ব, কন্ঠস্বর আবেদনকারীর পেশার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
বচ্চন দম্পতির মামলায় কার নাম ছিল? মামলাটি বিবাদী সংস্থা হিসাবে সাজানো হয়েছে - বলিউড টি শপ, টি পাবলিক, আইস পোস্টার, টপ পিক্স, ওয়ালপেপার কেভ, Wallpaper.com, জিএম অথেনটিক অটোস এলএলসি, জেএস শ্যাম রক এবং এটসি-র মতো ওয়েবসাইট। এছাড়াও, আবেদনে ইউটিউব চ্যানেল এআই এমএইচ ৩৯, ইট উইথ সেলিব্রিটিস, এনজয় উইথ সেলিব্রিটিস, অল ইন ১ এবং গেম উইথ গিরি, গুগল এলএলসি, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগকে সাজানো হয়েছে।