অনেক বাড়িতে বেডরুমের সঙ্গে অ্যাটাচড বাথরুমের থাকে। এতে বাস্তুমতে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ঘরের ইতিবাচক শক্তিকে ব্যাহত করতে পারে। স্বাস্থ্য, সম্পর্ক ও আর্থিক পরিস্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাথরুমের এই অবস্থান। কিন্তু কিছু বাস্তু টিপস মেনে চললে এই সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব।
বাথরুমের দরজা ও অবস্থান
দরজা বন্ধ রাখুন: বাথরুমের দরজা সব সময় বন্ধ রাখা উচিত। এটি বাথরুমের নেতিবাচক শক্তি বাথরুমের ভিতরেই সীমাবদ্ধ রাখে এবং শোওয়ার ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
ডাবল ডোর ব্যবহার করুন: যদি সম্ভব হয়, তাহলে শোওয়ার ঘর এবং বাথরুমের মধ্যে একটি ডাবল ডোর বা পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব আরও কমে।
বিছানা থেকে দূরত্ব রাখুন: আপনার বিছানা বাথরুমের দরজার ঠিক মুখোমুখি যেন না থাকে। যদি এটি এড়ানো সম্ভব না হয়, তবে মাঝখানে একটি আলমারি বা পর্দা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন - প্রেমের সঙ্গে ধনসম্পদও বেড়ে ডবল হবে! গোলাপ ফুলের এই টোটকা মানলে হাতেনাতে ফল
বাথরুমের বাস্তু প্রতিকার
লবণ ব্যবহার: বাথরুমের একটি কোণে একটি ছোট পাত্রে সামুদ্রিক লবণ রাখুন। এই লবণ নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে। প্রতি সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে একবার এই লবণ পরিবর্তন করুন।
গাছপালা ব্যবহার: বাথরুমে ছোট গাছ যেমন মানি প্ল্যান্ট, স্পাইডার প্ল্যান্ট বা স্নেক প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। এই গাছগুলো বাতাসকে বিশুদ্ধ করে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - পিতৃপক্ষের তর্পণ সেরে বাড়ি ফিরে অবশ্যই করুন ৫ কাজ, মঙ্গল হবে পূর্বপুরুষদের
আয়না: বাথরুমের ভিতরে আয়না এমনভাবে রাখুন যাতে কোনওভাবেই শোওয়ার ঘরের দিকে প্রতিফলিত না হয়। আয়না নেতিবাচক শক্তিকে প্রতিফলিত করতে পারে।
সুগন্ধি: বাথরুমে সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি, এসেনশিয়াল অয়েল বা এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এটি বাথরুমের স্থবির শক্তিকে সচল করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।