আর কিছুদিনের মধ্যেই অবসান হতে চলেছে পিতৃপক্ষের। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে তর্পণের ভিড় দেখা যায়। বহু মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে এই দিন জল তর্পণ করে থাকেন। কিন্তু গঙ্গায় নেমে তর্পণ করলেই পুরো পিতৃপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানোর পদ্ধতি শেষ হয় না। তর্পণ সেরে বাড়ি ফিরে কিছু কাজ করা আবশ্যকীয়। এগুলি না করলে তর্পণ অসমাপ্ত থেকে যায়। তর্পণের ফলও অধরা থেকে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, তর্পণ সেরে কোন কোন কাজ করা বাঞ্ছনীয়।
তর্পণ সেরে বাড়ি ফিরে কী কী করা বাঞ্ছনীয়?
১. বাড়ি ফিরে স্নান করুন - গঙ্গায় তর্পণ করতে নেমে অনেকেই স্নান সেরে নেন। কিন্তু এমনটা না করে বাড়ি ফিরে স্নান করাই শুভ। এতে ক্লান্তি দূর হয়। পাশাপাশি পবিত্রতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন -
২. দাঁত দিয়ে নিম চিবিয়ে ফেলে দিন - তর্পণের পাশাপাশি অনেকেই এই দিন শ্রাদ্ধশান্তির আচার অনুষ্ঠান করে থাকেন। শ্রাদ্ধ করে ফেরার পর অবশ্যই একটি নিম পাতা অল্প চিবিয়ে ফেলে দিন। এটি যাবতীয় পাপ ধ্বংস করে। পাশাপাশি শরীর ও মনের পবিত্রতা ফিরিয়ে আনে।
৩. চারটি উপাদান স্পর্শ করুন - ঘরে ফিরে চারটি উপাদান স্পর্শ করুন এই দিন। লোহা, আগুন, জল ও পাথর স্পর্শ করে তবেই ঘরে প্রবেশ করুন। এগুলি আপনার সঙ্গে থাকা সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে দূর করবে। একই সঙ্গে ইতিবাচক শক্তিকে ঘরে নিয়ে আসবে।
৪. ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করুন - বাড়ি ফিরে অবশ্যই ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করুন। পুজোর ঘরে গিয়ে তাঁর মূর্তির সামনে বসে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন। এতে পূর্বপুরুষরা তুষ্ট হয়। শ্রাদ্ধের ফল বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি সাত প্রজন্মের উপকার হয় বলে মনে করা হয় শাস্ত্রে।
আরও পড়ুন -
৫. দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের ভোজন করান - দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের এই দিন ভোজন করানো শুভ বলে মনে করা হয়। তাই তর্পণ সেরে এই দিন দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের জন্য রান্না করে তাদের পরিবেশন করুন। এতে পূর্বপুরুষদের মঙ্গল হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।