চারিদিকে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের ডাক উঠেছে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলা, অপরাশেন সিঁদুর ও ওয়াঘা সীমান্তের দুই দেশের উত্তেজনার পর এই প্রথম, রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ২২ গজের লড়াইয়ে খেলতে নামবে একসঙ্গে।তার আগে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতকে খেলা থেকে বিরত থাকার ডাক উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিসিসিআইকেও কাঠগড়ায় তোলার হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাইরে কী হচ্ছে তাতে নয়, ম্যাচের দিকেই ফোকাস করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর।
আরও পড়ুন-লন্ডনে বিদ্রোহের আগুন! পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র অভিবাসন-বিরোধী মিছিল
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, দেশজুড়ে ম্যাচ বয়কট ডাকের মধ্যে কোচ গৌতম গম্ভীর এবং টিম ম্যানেজমেন্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।তরুণ দলকে পেশাদার থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যদিও তা বাস্তবে রক্ষা করা কঠিন। কারণ ক্রিকেটাররা কঠোর অনুশীলনের পর নিজের ফোন হাতে নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখছে, যেখানে নানা আবেগঘন বার্তা ও রাজনৈতিক আলোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল ম্যাচের আগের দিন কোনও খেলোয়াড়, অধিনায়ক বা কোচ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হননি, যা থেকেই বোঝা যায় ড্রেসিংরুমে চাপ কতটা। সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে স্পষ্ট জানান, দলের মনোভাব পুরোপুরি পেশাদার। তাঁর কথায়, এটা 'প্রচণ্ড সংবেদনশীল একটা ইস্যু। ক্রিকেটাররা যথেষ্ট আবেগপ্রবণ। ওরা দেশবাসীর আবেগ বোঝে। এটা নিয়ে ড্রেসিংরুমে আলোচনা হয়েছে। দেখুন ক্রিকেটারদের তো খেলতেই হবে। সরকার আর বোর্ডের নির্দেশিকা মেনেই চলছি আমরা।'
আরও পড়ুন-লন্ডনে বিদ্রোহের আগুন! পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র অভিবাসন-বিরোধী মিছিল
সাংবাদিক সম্মেলনে বারবারই উঠছিল দুই দেশের রাজনৈতিক বিরোধের প্রসঙ্গ। এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়েই জবাব দিয়েছেন রায়ান টেন। পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে কোচ গৌতম গম্ভীরও শিষ্যদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোচ (গম্ভীর) বলে দিয়েছেন– এখন হচ্ছে পেশাদারিত্ব দেখানোর সময়। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া এবং যেহেতু আমাদের সামনে ক্রিকেট, এখন আবেগহীন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ক্রিকেটাররা তাদের দেশ নিয়ে যে অনুভূতি লালন করে তারই প্রতিনিধিত্ব করবে আসন্ন ম্যাচে।’ নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেন, ‘অনেকেই বলেছেন খেলাধুলা এবং রাজনীতিকে আলাদা রাখতে। আশা করি আমাদের খেলাই বলে দেবে দেশের প্রতি এই ক্রিকেটাররা কতটা দায়বদ্ধ। আমরা বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত মেনেই খেলতে নামব। যা চলছে তা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। পুরো দেশের মানুষের মধ্যে যা চলছে, ক্রিকেটারদের ভাবনাও তারচেয়ে আলাদা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়া কাপ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। আমরা যে এখানে এসে খেলব, সেটা অনেকেই ভাবতে পারিনি।'