চিন সহ রাশিয়ার তেল কেনা দেশগুলির ওপর ৫০-১০০% শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর টাম্প প্রশাসনের এই আহ্বানের জবাবে এবার মুখ খুলেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। শনিবার এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, 'চিন যুদ্ধে অংশ নেয় না বা যুদ্ধের পরিকল্পনাও করে না'। চিনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'শুল্ক কোনও যুদ্ধ সমস্যার সমাধান করতে পারে না। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র যুদ্ধপরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।'
উল্লেখ্য, এর আগে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই শুল্কের চাপে ভারত মাথা নত করেনি। বরং ভারত চিনের কাছাকাছি এসে গিয়েছে। এর জেরে মাথায় হাত পড়েছে আমেরিকার। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের প্রতি সুর নরম করেছে। আর এবার চিনের দিকে নজর পড়েছে ট্রাম্পের। অবশ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে মরিয়া থাকলেও ট্রাম্প নিজে দায় ঝেড়েছেন। তাঁর কথায়, 'এই যুদ্ধ বাইডেন এবং জেলেনস্কির।' এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনা, শুল্ক চাপিয়ে অন্যান্য দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত রাখা। তবে ন্যাটোভুক্ত তুরস্ক, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরির মতো দেশগুলি তো রাশিয়া থেকে তেল কেনে। এদিকে ভারতে শোধিত রুশ তেল ইউরোপে বিক্রি হয়। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর আর্জি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এরপর জি৭-এর জরুরি বৈঠক ডেকে এই গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলিকেও ট্যারিফ চাপানোর কথা বলে আমেরিকা। তবে তাদের মধ্যে কোনও দেশও তাতে সাড়া দেয়নি এখনও। এই আবহে ভারতের বিষয়ে সুর নরম করে এবার চিনকে নিশানা করতে চাইছেন ট্রাম্প।
এই আবহে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো দেশগুলিকে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি ন্যাটোর অধীনস্থ দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে বলেছেন। পাশাপাশি রাশিয়ার উপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে। পরে এই চিঠি নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, 'রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য ন্যাটোর দেশগুলির উচিত চিনের উপরেও ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা। বিষয়টি হাস্যকর হলেও এটি যুদ্ধ বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।'