৩০০০ বছর আগে পৃথিবীকে পথ দেখিয়েছিল ভারত। কিন্তু কোনও দেশকে জয় করেনি, বা কারও বাণিজ্যে মাথাও গলাতে যায়নি। বরং ভারত সারা বিশ্বকে সভ্যতা শিখিয়েছে, বিতরণ করেছে জ্ঞানের ভাণ্ডার। সম্প্রতি এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রাচীন ভারত সম্পর্কে এমনটাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। পরোক্ষে নাম না করে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্পের শুল্কনীতিকেই। প্রহ্লাদ প্যাটেলের লেখা নর্মদা পরিক্রমা বইটির উদ্বোধন করতে গিয়ে কথাগুলি বলেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই পৃথিবীতে কোনও বিরোধ ছিল না। উচ্চ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও পরিবেশের কোনও অবনতি হয়নি।
‘আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি’
মোহন ভাগবতের কথায়, ‘আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা কোনও দেশ জয় করিনি, কারও ব্যবসা দমন করিনি, কাউকে পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিত করিনি। আমরা যেখানেই গিয়েছি, সভ্যতা, জ্ঞান, ধর্মগ্রন্থ থেকে শিখেছি এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করেছি। প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল, সবকিছুই ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ ছিল। আজ তা নেই।’
আরও পড়ুন - BMW-এর ধাক্কায় মৃত্যু অর্থমন্ত্রক সচিবের, বিষ্ফোরক অভিযোগ পুত্রের, কী বলছে পুলিশ
‘তখন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি খুব বেশি ছিল’
এই দিন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ৩,০০০ বছর আগের ভারতকে বিশ্বের ‘সেরা দেশ’ বলে অভিহিত করেন। কারণ দেশটির পূর্বপুরুষদের সচেতনতা এবং বিশুদ্ধ অনুভূতি ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের যে সচেতনতা এবং পবিত্রতার অনুভূতি দিয়েছিলেন, তার জন্যই ভারত ছিল সেরা দেশ। ৩০০০ বছর ধরে পৃথিবীতে কোনও সংঘাত ছিল না। তখন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি খুব বেশি ছিল, কিন্তু পরিবেশের কোনও অবনতি হয়নি। মানবজীবন সুখী এবং সংস্কৃতিপূর্ণ ছিল।’
আরও পড়ুন - ITR-এর শেষ দিন ১৫ সেপ্টেম্বর, দেরি হলে কার কত জরিমানা? জানুন কর বিশেষজ্ঞের থেকে
শুক্রবারে ট্রাম্পকে করেছিলেন কটাক্ষ
এর আগে, শুক্রবারেও তাঁর মুখে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে কিছু কথা শোনা গিয়েছিল। সেদিন মোহন ভাগবত বলেন, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিকে ভয় পেয়ে তার উপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিশ্বের বড় শক্তিগুলি ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তি দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। ওই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ ভয় পায়, যদি অন্য কেউ তাঁর থেকে বড় হয়ে যায়, তাহলে তাঁর কী হবে।তাই, তারা শুল্ক আরোপ করেছে।’ শনিবার ভারতের জয়গান গেয়ে তুলে আনলেন প্রাচীন ভারতের নির্দশন।