সাধারণভাবে ৩১ জুলাই থাকে শেষ তারিখ। তবে প্রায়ই পিছনো হয় সেই তারিখ। এই বছর মে মাসেই সরকার ঘোষণা করেছিল আইটি রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। পরে সেই তারিখ আর পিছনো হয়নি। অর্থাৎ কোনও এক্সটেনশন দেওয়া হয়নি। তাই এই তারিখের মধ্যে আইটি ফাইল করতেই হবে। না করলে ফাইন ছাড়়াও একাধিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবার। কী বলছে আইন? দেখে নেওয়া যাক একঝলকে।
কী বলছেন কর বিশেষজ্ঞ?
ক্লিয়ারট্যাক্সের কর বিশেষজ্ঞ শেফালি মুন্দ্রার কথায়, ‘আয়কর আইনের ধারা ২৩৪এফ অনুযায়ী, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আইটি রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে দেরির করদাতাকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। জরিমানার পরিমাণ ব্যক্তির মোট আয় এবং তিনি কখন আইটি রিটার্ন দাখিল করছেন, তার উপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন - ভূমিকম্পে কাঁপল অসম থেকে উত্তরবঙ্গ,ক্ষয়ক্ষতি কতটা?
কত টাকা জরিমানা
তাঁর কথায়, ‘২০২৫-২৬/২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে যাদের আয় ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম, তারা যদি নির্ধারিত তারিখের পর কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের আগে রিটার্ন ফাইল করেন, তাহলে জরিমানা হিসেবে ১০০০ টাকা দেবেন সরকারকে। অন্যদিকে ৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের করদাতাদের একই শর্তে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।’
আরও পড়ুন - বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে এবার মিমিকে তলব করল ED, ডাক পেলেন আরও এক নায়িকা, কবে হাজিরা?
কারা ছাড় পাবেন?
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘যদি আপনার আয় মৌলিক ছাড়ের সীমার কম হয়, তবে কোনও আলাদা ফি নেই, কারণ ওই অঙ্ক করযোগ্য নয়। এটি সাধারণত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কারণ কিছু প্রয়োজনীয় (যেমন বিদেশী সম্পদ, ইত্যাদি) আয় কম হলেও ITR বাধ্যতামূলক হতে পারে।’
ট্যাক্সের পাশাপাশি দিতে হবে সুদও
যদি কোনও করদাতা দেরিতে আইটি রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় অগ্রিম কর (অ্যাডভান্স ট্যাক্স) পরিশোধ না করার জন্য করের উপর সুদ দিতে হবে। এছাড়াও, দেরির উপর ভিত্তি করে বকেয়া করের উপর সুদ চাপাতে পারে আয়কর দফতর।