‘ফাইট অর ডাই।’ লন্ডনে অতি-ডানপন্থীদের অভিবাসন-বিরোধী সমাবেশে এমনই বার্তা দিয়েছেন বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। যার ফলে অভিবাসন ইস্যুতে কিয়ের স্টার্মারের সরকারের উপর চাপ আরও বাড়ল ৷ শনিবার উগ্র ডানপন্থী নেতা টমি রবিনসনের নেতৃত্বে আয়োজিত অভিবাসন-বিরোধী মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হয় লন্ডন। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয় ৷ এই ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন-লন্ডনে বিদ্রোহের আগুন! পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র অভিবাসন-বিরোধী মিছিল
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনে ডানপন্থীদের এতবড় বিক্ষোভ সমাবেশ আর দেখা যায়নি ৷ প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল অতি-ডানপন্থী রাজনীতিবিদ টমি রবিনসনের ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ সমাবেশে। বিশ্বজুড়ে ডানপন্থী নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন টেসলা ও এক্স-এর মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক। ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি রবিনসন-সহ অন্যান্য কট্টর ডানপন্থি নেতাদের সমর্থন করেন এবং অভিযোগ তোলেন, ব্রিটিশ জনগণ এখন আর তাদের বাকস্বাধীনতা প্রয়োগে নিরাপদ বোধ করছেন না। কয়েক মাস আগেও তাঁকে দেখা যেত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে। এবার মাস্ক নাক গলালেন ব্রিটেনে। ব্রিটিশ জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আপনারা একটি মৌলিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন, চাইলেও না চাইলেও সহিংসতা আসছে। তুমি হয় লড়াই করো, না হয় মরো।' ইলন মাস্ক দাবি করেন, বামপন্থীরা হত্যা ও হত্যাকে উদযাপন করে। তাঁর এই মন্তব্যকে অনেকেই উস্কানিমূলক বলে সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন-লন্ডনে বিদ্রোহের আগুন! পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র অভিবাসন-বিরোধী মিছিল
অন্যদিকে, বিরিটেনের লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, এই ডানপন্থী সন্ত্রাসীরা ব্রিটেনকে প্রতিনিধিত্ব করে না। এদিকে, ডানপন্থী ফরাসি নেতা এরিক জেমোর এবং জার্মানির অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি-এর পেটার বাইস্ট্রনও এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। জেমোর তার বক্তব্যে তথাকথিত 'গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট' ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পুনরাবৃত্তি করেন, যা দাবি করে ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গদের পরিকল্পিতভাবে অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। লন্ডনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ম্যাট টুইস্ট বলেন, অনেকেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, তবে কিছু মানুষ স্পষ্টতই সহিংসতার উদ্দেশ্যে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, পুলিশের উপর আক্রমণ-সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের আহতদের মধ্যে কারও দাঁত ভেঙেছে, কারও নাক ভাঙার সম্ভাবনা আছে, কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছে এবং একজনের মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গিয়েছে।