'১০০ শতাংশ খুন হবেন।' উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগেই ডোনাল ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ কনজারভেটিভ নেতা চার্লি কার্ককে সতর্ক করেছিলেন এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি একটি কলেজের অনুষ্ঠান চলাকালীন চার্লি কার্ককে গুলি করে খুন করা হয়। মাত্র ৩১ বছর বয়সি কার্কের গলায় গুলি লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খুনি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে। এমন সময় প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন-'নিউ ইয়র্কে এলেই গ্রেফতার!' ফের নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি মেয়র প্রার্থী মামদানির
দ্য মিরর-এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গত ৬ মার্চ কার্কের সঙ্গে দেখা করেন ক্রিস হার্ৎসগ। তিনি বেভারলি হিলসের দ্য বডিগার্ড গ্রুপের মালিক। তিনি চার্লি কার্ককে স্পষ্ট জানান, 'আপনার সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে আসন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সভাগুলির মধ্যে কোনও একটিতে ১০০ শতাংশ খুন হবেন।' কিন্তু সেই সতর্কবার্তা কার্যত উপেক্ষা করেন কার্ক। ডেইলি মেইলকে ক্রিস হার্ৎসগ বলেন, 'দুঃখের বিষয় হল তিনি পরে কখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এখন তাঁর খুনের বিষয়ে আমার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।' তাঁর দাবি, চার্লি কার্কের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। হার্ৎসগ বলেন, 'আমরা সবাই বুঝতে পেরেছিলাম চার্লি কার্কের যে নিরাপত্তা রয়েছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। তিনি গুরুতর ঝুঁকির মুখে ছিলেন।' স্নাইপার হামলা এড়াতে ব্যালিস্টিক কাচের দেওয়াল বসানো এবং ৭০০ মিটারের মধ্যে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-'নিউ ইয়র্কে এলেই গ্রেফতার!' ফের নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি মেয়র প্রার্থী মামদানির
অন্যদিকে, চার্লি কার্ককে খুনে অভিযুক্ত টাইলার রবিনসনকে প্রায় ৩৩ ঘণ্টা পর গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ।উটাহের গভর্নর স্পেন্সার কক্স জানান, অভিযুক্তের আত্মীয় ও এক পারিবারিক বন্ধু স্থানীয় শেরিফ অফিসে খবর দেন যে রবিনসন অপরাধের ইঙ্গিত দিয়েছেন বা কার্যত স্বীকার করেছেন। সেই সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে রবিনসন। সূত্রের খবর, ধৃতের নাম টাইলার রবিনসন। ২২ বছর বয়সি যুবকের বাড়ি উটাহতে। খুনের ঘটনার পর তড়িঘড়ি তদন্তে নামে এফবিআই। বুধবার রাতেই একটি ছবি সামনে এনেছিল মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা। এরপর প্রকাশ্যে আসে সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ। ১০ সেপ্টেম্বরের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট। কলেজের ছাদের উপর দিয়ে ছুটছে আততায়ী। এরপর ছাদের কিনারায় এসে নীচে ঝাঁপ দেয়। পরনে কালো ফুলহাতা টি-শার্ট। মাথায় টুপি, চোখে সানগ্লাস ও পিঠে ব্যাগ। শুরুতে এদিক-ওদিক দেখে মাঠের মধ্যে কিছুটা পথ দৌড়তে থাকে। পরে পার্কিং লটের কাছে এসে একেবারে ধীরেসুস্থে হাঁটতে থাকে টাইলার। একসময় রাস্তা পার করে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় সে।