বলিউডের অনেক অভিনেতাই এই ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্য অর্জনের আগে অনেক সংগ্রাম করেছেন। কেউ কেউ ছোট ছোট কাজ করে চলচ্চিত্র জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, আবার কেউ কেউ বছরের পর বছর ধরে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন। 'রাম লক্ষাণ', 'মোহরা', 'করণ অর্জুন', 'জিৎ' এবং ‘ত্রিদেব’-এর মতো আইকনিক ছবিতে কাজ করা অভিনেতা গুলশান গ্রোভারের গল্পও একই রকম।
আরও পড়ুন: মানসীর ছেলের অন্নপ্রাশন! গায়ের হলুদে কেমন সাজল নায়িকার আদরের ‘ফড়িং বাবু’? রইল ভিডিয়ো
গুলশান গ্রোভার 'রামলীলা'য় অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন। গুলশান খলনায়কের ভূমিকায় এত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করেছিলেন যে তাঁকে বলিউডের 'ব্যাডম্যান' উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাড়িতে গুলি চলার ঘটনার পর এই প্রথম সবার সামনে এলেন দিশা! তাঁর তারকা বন্ধুরা কে কী বললেন?
গুলশান গ্রোভারের আত্মজীবনীতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি কীভাবে দিল্লির উপকণ্ঠে রামলীলা দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন। গুলশান গ্রোভার তাঁর মায়ের ওড়না দিয়ে একটি পোশাক তৈরি করেছিলেন এবং প্রথমবারের মতো রামলীলায় হনুমানজির সেনাবাহিনীতে এক বানরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বিনিময়ে তাকে বেতন হিসেবে এক গ্লাস দুধ এবং কিছু কলা দেওয়া হয়েছিল। সেই ছেলেটি যে পরে বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত খলনায়ক হয়ে ওঠবেন তখন আর কে জানতেন। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর।
গুলশান গ্রোভারের কাজ রামলীলা কমিটি এতটাই পছন্দ করেছিল যে পরে তিনি এই ধরণের আরও ভূমিকা পেতে শুরু করেন। তিনি আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে তাঁর কেরিয়ার গড়ে তোলেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাটও গুলশান গ্রোভারের একজন ভক্ত। মহেশ গুলশান গ্রোভারের কাজের প্রতি নিষ্ঠায় খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন। মহেশের মতে সফল হওয়ার পরও তিনি কাজকে গুরুত্ব দিতেন এবং একজন নবাগত শিল্পীর মতো সব বিষয় কৌতূহল দেখাতেন।
মহেশ ভাট একবার জানিয়েছিলেন যে, ভোর ৫.৩০ টায় তিনি গুলশানের কাছ থেকে ফোনে একটি ম্যাসেজ পান। সেখান লেখাছিল ‘স্যার, আমি সড়ক-২ এর পুরো স্ক্রিপ্টটি পড়েছি। আমার এটা পছন্দ হয়েছে। আমাকে এই জার্নির অংশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক ভালোবাসা- গুলশান।’ এই বার্তাটি পড়ার পর মহেশ ভাট মনে মনে হেসে উঠেন। কারণ মহেশ ভাট মাত্র ১০ ঘন্টা আগে গুলশানকে এই স্ক্রিপ্টটি দিয়েছিলেন এবং তিনি এত তাড়াতাড়ি পুরো স্ক্রিপ্টটি পড়ে ফেলেছিলেন।