ঘরের নেতিবাচক শক্তি সম্পর্ক থেকে কেরিয়ার সবেতেই প্রভাব বিস্তার করে। তাই ঘরের মধ্যে কিছু রাখার ব্যাপারে ফেং শুইয়ের নিয়ম মেনে চলতে পারেন। চিনা বাস্তুশাস্ত্র হল ফেং শুই। ফেং শুই মতে, ঘর সাজানোর সময় কিছু নির্দিষ্ট জিনিস ব্যবহার করলে চার দেওয়ালের ভিতর ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে সংসারের মধ্যেও সমস্যা নির্মূল হয় অনেকাংশে।
ফেং শুই মতে কী কী করণীয় এই সময়?
১. আয়না ব্যবহার: ঘরের অন্ধকার বা সংকীর্ণ জায়গায় একটি আয়না রাখুন, যাতে আলো প্রতিফলিত হয়ে সেই স্থানটি উজ্জ্বল হয়। তবে শোওয়ার ঘরে বিছানার বিপরীত দিকে আয়না রাখবেন না। এতে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় বলে জানাচ্ছে ফেং শুই।
আরও পড়ুন - শনির মহাদশায় বিপদ ডেকে আনে কেরিয়ারেও! ক্ষতি এড়াতে কী করে তুষ্ট করবেন বড়ঠাকুরকে
২. গাছপালা রাখুন: তুলসী, মানি প্ল্যান্ট বা স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছপালা ঘরে রাখুন। গাছপালা ইতিবাচক শক্তি ছড়ায় এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এছাড়াও আর্থিক উন্নতি ডেকে আনে এই গাছপালা।
৩. অগোছালো জিনিস সরিয়ে ফেলুন: অগোছালো বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। তাই নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন।
৪. টাটকা ফুল: ঘরে টাটকা ফুল রাখুন। ফুলের সুবাস এবং সৌন্দর্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। তবে শুকনো বা মরা ফুল তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলুন। বসার ঘরে একটি ফুলদানিতে নিয়ম করে টাটকা ফুল রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন - পিতৃপক্ষের তর্পণ সেরে বাড়ি ফিরে অবশ্যই করুন ৫ কাজ, মঙ্গল হবে পূর্বপুরুষদের
৫. সাউন্ড থেরাপি: ঘণ্টা, উইন্ড চাইম বা টিবেটিয়ান বাউলের মতো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে ঘরের মধ্যে নেতিবাচক শক্তি দূর করা যায়। এই যন্ত্রের শব্দ স্থবির শক্তিকে সচল করে। এই যন্ত্রের যেকোনও একটি ঘরে এনে রাখতে পারেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।