অভিনেত্রী সোহা আলি খান সম্প্রতি ইতালিতে তার একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে রীতিমতো হয়রান করা হয়েছিল। সোহা ঘটনাটি বিরক্তিকর বলে মনে করেছিলেন এবং স্বীকার করেছিলেন যে তিনি এর পিছনে উদ্দেশ্য বুঝতে পারছিলেন না।
হাউটারফ্লি ইউটিউব চ্যানেলে দ্য মেল ফেমিনিস্ট পডকাস্টের সর্বশেষ পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন সোহা আলি খান। আর এই কথোপকথনের সময়, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাকে কখনও প্রকাশ্যে ফ্ল্যাশ করা হয়েছিল কিনা। জবাবে সোহা জানান যে প্রকাশ্যে তাঁকে গোপনাঙ্গ দেখানো হয়েছিল। বলেন, ‘হ্যাঁ ইতালিতে। স্পষ্টতই, এটি প্রায়শই ঘটে। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে? হ্যাঁ। তাদের উদ্দেশ্য কী? আমি সেটা বুঝতে পারছিলাম না। আমরা বোঝার জন্য তাদের মতো হতেও চাই না।’
সোহা স্বীকার করেছেন যে তার ব্যাকগ্রাউন্ড তাকে অনেক অনিরাপদ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে যা মহিলারা প্রতিদিন মুখোমুখি হন। বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি যে আমার জীবন অনেক সুবিধার। যা আমার জীবন রক্ষা করা হয়েছে। আমি খুশি যে আমি এমন অভিজ্ঞতা পাইনি। আমি জানি যে গণপরিবহন ব্যবহার করেন এমন অনেক মহিলার জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটে।’
বলিউডের কাস্টিং কাউচেরও উল্লেখ আসে সোহার কথায়। রেহাই পেয়েছেন উল্লেখ করে বলতে শোনা যায়, ‘যখন আপনি একটি ইন্ডাস্ট্রি পরিবারের অন্তর্গত। প্রত্যেকেই অনুভব করেন যে সইফ আছেন, শর্মিলাজি আছেন।’
সোহার জন্ম ১৯৭৮-এর ৪ অক্টোবর, দিল্লিতে। দিল্লির দ্য ব্রিটিশ স্কুল থেকে পড়াশোনার পরে তিনি পাড়ি দেন ইংল্যান্ড। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যালিয়োল কলেজে পড়াশোনা করেন আধুনিক ইতিহাস নিয়ে। পরে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে। লেখাপড়া শেষ করে প্রথমে ব্যঙ্ক ও এনজিও-তে কাজ করেন সোহা। ২০০৪- এ মুক্তি পায় সোহার প্রথম বাংলা ছবি ‘ইতি শ্রীকান্ত’। সেই বছরই আসে সোহার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘দিল মাঙ্গে মোর’। ‘প্যায়ার মে টুইস্ট’, ‘রং দে বসন্তী’, ‘মুম্বই মেরি জান’, ‘তুম মিলে’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘গো গোয়া গন’, এবং ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি’-র মতো সিনেমা দিয়ে সিনেপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সোহা। আরও একটা বাংলা সিনেমা ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘অন্তরমহল’-এও দেখা গিয়েছে সোহাকে। সোহাকে সম্প্রতি হরর ফিল্ম ‘ছোড়ি ২’-তে দেখা গিয়েছিল।