অমিত শাহ বলেন, 'ইউনিফর্ম সিভিল কোড সাংবিধানিক এজেন্ডা ছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নিজে তাই সই করেছিলেন। তবে পরবর্তীকালে নিজেদের তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করেনি কংগ্রেস।'
অমিত শাহ
লোকসভা ভোট ঘনিয়ে আসতেই সিএএ নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে আজ একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর করা হবে দেশে। এরই সঙ্গে কংগ্রেসকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ইস্যুতে তোপ দাগেন শাহ। আজ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ইস্যুতে ইটি নাও - গ্লোবাল বিজনেস সামিটে অমিত শাহ বলেন, 'ইউনিফর্ম সিভিল কোড সাংবিধানিক এজেন্ডা ছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নিজে তাই সই করেছিলেন। তবে পরবর্তীকালে নিজেদের তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করেনি কংগ্রেস।' (আরও পড়ুন: ভারতকে ইতিবাচক বার্তা 'জয়ী' নওয়াজ শরিফের, পাক নেতার কথায় 'গর্জন' সমর্থকদের মধ্যে)
এদিকে সম্প্রতি দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি গৃহীত হয়েছে। এই নিয়ে অমিত শাহ বলেন, 'উত্তরাখণ্ডে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের প্রয়োগ একটি সামাজিক পরিবর্তন। এটি সব ফোরামে আলোচনা করা হবে এবং আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখোমুখি হবে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মভিত্তিক সিভিল কোড থাকতে পারে না।' এদিকে অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের বিলম্বের কারণও কংগ্রেস বলে দাবি করেন অমিত শাহ। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস তুষ্টিকরণের জন্যে রামমন্দিরের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এদিকে এদিন রাহুল গান্ধীকেও তোপ দেগে শাহ বলেন, 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করার কোনও অধিকারই রাহুল গান্ধীর নেই। কারণ তাঁর দলই ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জন্য দায়ী ছিল।' (আরও পড়ুন: 'ফাঁকা আওয়াজ' আর নয়? লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ, বড় ঘোষণা খোদ শাহের)
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ ঘোষণা করেন, লোকসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা হবে দেশে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর করা হবে। আজ অমিত শাহের কথাতেও শোনা গেল সেই সুর। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় এসে অমিত শাহ বলেছিলেন, সিএএ প্রয়োগ করা হবেই। কোনও শক্তি সিএএ-কে ঠেকাতে পারবে না। সম্প্রতি ঠাকুরনগরে এক ধর্মীয় সভা এবং বেশ কয়েকটি জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগ করা হবে। এই আবহে বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে ঝড় তুলতে পারে সিএএ।