মা হওয়ার পর শারীরিক গঠনে আসে বিরাট বড় পরিবর্তন। কেউ অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় কেউ আবার রোগা। মাতৃত্ব আস্বাদন করার সময় এমন অনেক মেয়েরাই আছেন যাদের কটুক্তি স্বীকার হতে হয়, তাঁদের মধ্যেই অন্যতম হলেন রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়।
রুদ্রাংশের জন্মের পর অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ায় ঠিক কেমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা জানালেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি টেলি টক ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, মা হয়ে যাওয়ার পর আয়নার দিকে তাকানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার কোমর ২৪ থেকে ৪০ ইঞ্চি হয়ে গিয়েছিল, অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়েছিল আমার।
আরও পড়ুন: নাম না করেই শ্বেতাকে তুলোধোনা মৌমিতার, সমাজমাধ্যমে কোন সত্যি তুলে ধরলেন তিনি?
আরও পড়ুন: এবার পুজোয় ফেলুদার সঙ্গে পাড়ি দিন কাঠমান্ডু, কোন ওটিটি-তে মুক্তি পাবে সিরিজটি?
রূপালী বলেন, আমাকে লোকেরা মোটা বলে সম্মোধন করত। রুদ্রাংশের জন্মের পর আমার ওজন ৮৩ কেজি হয়ে গিয়েছিল, আমি একটা সময় আয়না দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সকলে বলতো, আমি ভীষণ মোটা হয়ে গিয়েছি। এই কথা শুনতে শুনতে আমি মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পড়তাম।
অভিনেত্রী বলেন, আয়নায় নিজেকে দেখার সাহস হতো না আমার। আমার স্বামী খুব এই ব্যাপারে আমাকে সাপোর্ট করতেন। যখন আপনি সত্যি কাউকে ভালোবাসেন তখন আর তাঁর শরীরের প্রতি আপনি আকৃষ্ট হন না। আমি আমার স্বামীর থেকে সেই ভালোবাসাই পেয়েছি।
সম্প্রতি ছেলের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী যেখানে দেখা যাচ্ছে রুদ্রাংশ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। কখনও বাড়ির পুজোয় সেজেগুজে বসে রয়েছে সে কখনও আবার মায়ের সঙ্গে চলছে খুনসুটি। কাজের পাশাপাশি যে ছেলেকেও সব সময় সময় দেন রূপালী, সেটা এই ছবি দেখেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আয়ার হাতে নির্যাতিত কৃষভি, মায়েদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর
আরও পড়ুন: নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঋতুপর্ণার, ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত হবে তাঁর প্রথম কবিতার বই
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অশ্বিন ভার্মাকে বিয়ে করেছিলেন রূপালী। ওই বছরের অগস্ট মাসে একমাত্র ছেলেকে জন্ম দেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে অনুপমা ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী, যার হাত ধরে তিনি এখন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সারাভাই ভার্সেস সারাভাই সিরিয়ালে মনীষা চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। একজন মধ্যবিত্ত গৃহবধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই হাসির অনুষ্ঠানটি আজও মানুষের ভীষণ প্রিয় একটি অনুষ্ঠান।