মাত্র ২১ বছর বয়সে মা হয়েছেন অহনা দত্ত। ২৮ জুলাই 'অনুরাগের ছোঁয়া'র নায়িকার কোল আলো করে আসে মেয়ে। অহনার স্বামী দীপঙ্কর দে সবার প্রথম এই খবর সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেন। তারপর একটু সুস্থ হয়েই অহনা তাঁর প্রোফাইল থেকেও সকলকে এই বার্তা দেন। তবে তাঁদের মেয়ের জন্মের পর থেকে আকারে ইঙ্গিতে নাম না করে নানা কথা বলতে দেখা গিয়েছে অহনার মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাছাড়াও অনেক নেটিজেন অহনাকে নানা ভাবে কটাক্ষ করে চলেছেন। অনেকে বলছেন, তিনি যা করেছেন তাঁর মেয়েও নাকি তেমনটা করেই তাঁকে দুঃখ দেবে। বার বার নানা ভাবে তাঁকে আক্রমণ করা নিয়ে এবার সরব হলেন নায়িকা।
শনিবার সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেক দিন ধরেই কিছু কমেন্ট আমি পড়ছি যে, 'আপনার মেয়েও আপনার সঙ্গে এরকম করবে', ‘আপনি বুঝবেন, প্রতিশোধ নেবে’। হ্যাঁ অবশ্যই আমিই বুঝব, আমি ছাড়া আর কে বুঝবে? আপনাদের মতে ও যদি এমন কিছু করে, যা আমি করেছি তাহলে অবশ্যই আমাকেই বুঝতে হবে। কারণ আমার মেয়ের দায়িত্ব তো আমিই নেব, আর কে নেবে?’
'অনুরাগের ছোঁয়া'র সেটে অহনা, দীপঙ্করের প্রেমে পড়েন। কিন্তু পেশায় রূপসজ্জা শিল্পী দীপঙ্কর ডিভোর্সি। তাই মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি অহনার মা চাঁদনি। আর সেই কারণেই দীপঙ্করের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে ছিলেন নায়িকা। কিছু দিন লিভইন করলেও পরে দীপঙ্করের বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিয়ে মেনে নেননি অহনার মা।
সেই সূত্র টেনেই ভিডিয়োয় অহনাকে বলতে শোনা যায়, ‘কাউকে ভালোবেসে যদি আমার মেয়ে তাঁর হাত ধরে ঘর ছাড়ে প্রথমে আমি তাকে ফোন করব। তার খোঁজ নেব। তার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখব, কারণ যদি ছেলেটি খারাপ হয় তবে আমার মেয়ে কোথায় যাবে। মেয়েকে ফোন না করে আমি বলব না যে, ‘তুই চলে যায়, তোর গলার হারটা দিয়ে যা’। মেয়েকে বলব না যে, ‘তুই তোর দাদুর সঙ্গে কথা বলতে পারবি না’। আমার যদি রাগ হয়েও থাকে, তাও তার দাদু-দিদার যদি রাগ না হয়ে থাকে, তাহলে তা আমি তাঁদের উপর কখনও চাপিয়ে দেব না। আমি কোনও দিন আমার শ্বশুরমশাইকে বলব না যে, ‘তুমি ওর সঙ্গে কথা বলবে না, তাহলে কিন্তু আমি আত্মহত্যা করে ফেলব’। আমার পরিবারে যদি কেউ মারা যান, আর তখন সে রাত তিনটে সময় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাকুতি-মিনতি করে বলে, 'আমাকে একটু ঢুকতে দাও বাড়িতে, সেই মানুষটা যে আমাকে এত ভালবাসত তাঁকে একটু মুখটা দেখতে দাও'। ২০-২৫বার ফোন করে। তারপর আমি ঢুকতে না দিয়ে পারতাম না। আরও অনেকগুলো জিনিস আমি করতাম না।'
নায়িকা আরও বলেন, ‘তবে কী করতাম, কী করতাম না সেগুলো অনেক পরের প্রসঙ্গ। তার আগে তো আমার মেয়েকে এমন কিছু করতে হবে যেটা আমি করেছি। আর আমার মনে হয় না যে আমি যা করেছি, আমার মেয়ে তা করলে আমি খুব দুঃখিত হব। আর আমার মেয়ে যদি ভালো থাকে, খুশি থাকে, সুস্থ থাকে তাহলে তার থেকে বেশি আর আমার জীবন থেকে কিছু চাওয়ার নেই, পাওয়ারও নেই।’