অভিনেত্রীর রশ্মিকা মন্দানার ডিপফেক ভিডিয়ো ঘিরে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়া ভুয়ো ভিডিয়োটি ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। AI-এর সাহায্য নিয়ে তাঁর মুখকে ডিজিট্যালি বদলে রশ্মিকার মুখ ব্যবহার করা হয়েছে।
সাংবাদিক অভিষেক কুমার ভিডিয়োটি এক্স-এ শেয়ার করেছেন, ইন্টারনেটে জাল বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নতুন আইনি এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক ভিডিয়োটি মূলত ৮ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে জারা প্যাটেল নামে একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে। কে এই জাল ভিডিয়োটি তৈরি করেছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি। আরও পড়ুন: রশ্মিকার ফেক ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়! উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অমিতাভ
ডিপফেক ভিডিয়োটি দেখে নিজেও খুব বিরক্ত জারা পটেল। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘হ্যালো, আমার নজরে এসেছে, কেউ আমার ভিডিয়ো নিয়ে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে একটি ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করেছে। ডিপফেক ভিডিয়োর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয় আমি খুব বিরক্ত। আমি সেই নারী ও মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, যাঁদেরকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের রাখার ব্যাপারে আরও বেশি ভয় থাকতে হয়। অনুগ্রহ করে এক ধাপ পিছিয়ে যান এবং আপনি ইন্টারনেটে যা দেখছেন তা যাচাই করুন। নেটদুনিয়ায় সবকিছু বাস্তব নয়’।

জারা পটেলের বিবৃতি
যদিও এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই ধন্দে ছিলেন, আদৌ এটা রশ্মিকা তো! জানতে পারা যায়, এই ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন। অন্য এক মহিলার ভিডিয়োয় কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এমন এক ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। এ বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে রশ্মিকা লেখেন, ‘অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া নিজের ডিপফেক ভিডিয়ো সম্পর্কে কথা বলতে হচ্ছে, এটা শেয়ার করতে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। এইরকম কিছু সত্যিই, অত্যন্ত ভয়ের শুধু আমার জন্যই নয়, আমাদের প্রত্যেকের জন্যও যারা আজ প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে এমন ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি’।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘একজন মহিলা এবং একজন অভিনেত্রী হিসাবে, আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্খীদের জন্য কৃতজ্ঞ যারা আমার সুরক্ষা এবং সমর্থন নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। আমি যখন স্কুল বা কলেজে ছিলাম তখন যদি আমার সঙ্গে ঘটত তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করব সেটা আমার কাছে কল্পনার বাইরে ছিল’। আরও লিখেছেন, ‘আমাদের এই ধরনের পরিচয় চুরির থেকে প্রভাবিত হওয়ার আগে আমাদের একটি সম্প্রদায় হিসাবে এবং তৎপরতা নিয়ে এটির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে’।
আপনি যদি ভিডিয়োগুলি পাশাপাশি চালান - ডিপফেক এবং আসল ভিডিয়োর মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে। আসল ভিডিয়োতে, লিফটে ঢোকার সময় জারা প্যাটেলের মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের পরে, ভিডিয়োটি পরিবর্তন হয় এবং রশ্মিকা মন্দনার মুখে রূপান্তরিত হয়।
বিষয়টি রিটুইট করে অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ‘এই ঘটনাটা খুব গম্ভীর এবং আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’। প্রসঙ্গত, ‘গুডবাই’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন রশ্মিকা ও অমিতাভ।