বছর শেষে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে দেবের 'খাদান'। পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছিল দেব ও রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘টেক্কা’। বক্স অফিসেও বেশ ভালো ব্যবসা করেছিল ছবিটি। তবে বছর শেষে এই ছবিতে কাজের সুবাদেই অভিনেত্রী মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যাণ্ডেলে ভাগ করে নিলেন সেই বিশেষ প্রাপ্তির খবর।
সৃজিত তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান, কবি জয় গোস্বামী 'টেক্কা'য় রুক্মিণীর অভিনয় দেখে মুগ্ধ। পাশাপাশি 'টেক্কা'রও প্রশংসা করেছেন কবি। এই প্রসঙ্গে সৃজিত লেখেন, ‘জয় গোস্বামী নিজে ফোন করে জানিয়েছেন যে, 'টেক্কা’ তাঁর কতটা ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ছবিতে রুক্মিণী মৈত্রের অভিনয় কতটা পছন্দ হয়েছে, সে কথা জানিয়েছেন তিনি। ‘টেক্কা’ -কে এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য সত্যি আমি খুব আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: অপরাধের অন্ধকারেই কি 'ভাগ্যলক্ষ্মী' সহায় হবে ঋত্বিক-শোলাঙ্কির? মৈনাকের ছবির ট্রেলারে রক্তারক্তি কাণ্ড
পরিচালকের এই পোস্ট দেখেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সৃজিতের পোস্ট শেয়ার করে আল্পুত রুক্মিণী লেখেন, ‘ঈশ্বর করুণাময়! অনেক ধন্যবাদ ওঁকে।’ পাশাপাশি অভিনেত্রী সৃজিতকে তাঁর হয়ে কবিকে শুভেচ্ছা জানাতেও বলেন।
'টেক্কা'য় অভিনেত্রীকে ‘মায়া’ নামে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক অফিসার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। তিনি ছাড়াও ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দেব, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও দুঁদে রাজনীতিবিদের চরিত্রে দেখা যায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা মেলে সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, শ্রীজা দত্ত ও আরিয়ান ভৌমিককে। এছাড়াও রুক্মিণীর স্বামীর চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন টোটা রায়চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘আলিয়ার সঙ্গে কাজ করলে পরের ছবির ব্যান্ড বেজে যাবে’, কেন এমন বললেন 'জিগরা'র পরিচালক ভাসান বালা?
কাজের সূত্রে, রুক্মিণীকে এর পর তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’-এ দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই ছবির টিজার প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিতে 'নটী বিনোদিনী' ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। তাছাড়াও অর্ণব মিদ্যা নতুন ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ -এ বর্তমানে কাজ করছেন তিনি। ছবিতে অভিনেত্রীর বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে। ২৯ ডিসেম্বর চিরঞ্জিৎতের সঙ্গে একটি ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিয়ে রুক্মিণী লিখেছিলেন, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা-এর প্রথম শিডিউল শেষ হল।’
এই ছবি খবর প্রকাশ্যে আসতে এই ছবি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘হাঁটি হাঁটি পাপা’র গল্প যখন শুনি তখন কেন জানি না, গল্পটা আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে যায়, তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, কাঁটাছেঁড়ার পরে আজ আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে যে, দর্শকদের আমরা এইরকম একটা ছবি উপহার দিতে চলেছি।’