ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ দিব্যজ্যোতি দত্ত। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবির নায়ক তিনি। তবে এবার এক ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজেই অনুরাগীদের থেকে জানতে চাইলেন তিনি ভালো চুমু খেতে পারেন কিনা? ব্যাপারটা শুনে খুব অদ্ভুত মনে হলেও এটাই সত্যি। কিন্তু কার গালে চুমু খেয়ে এমন কথা জানতে চাইলেন তিনি?
নানা এক নয়, একাধিক গালে চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে অনুরাগীদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন নায়ক। তাই সেই ভিডিয়ো রীতি মতো ভাইরাল। কী ভাবছেন? নায়ক কি তবে তাঁর মনের মানুষকে সামনে আনলেন? তাঁর গালেই আঁকলেন চুমু?
আরও পড়ুন: কিরণের জন্মদিনে প্রেমিকা অন্তরার আদুরে বার্তা! কত বছর বয়স হল ‘বং গাই’-এর?
না তারা মনের ‘মানুষ’ নয় বটে, তবে মনের খুব কাছের। তাই ভয় না পেয়ে নির্দ্বিধায় তিনি তাঁদের গালে বা কপালে চুমু একে দিয়েছেন নায়ক। সেই ভিডিয়ো অকপটে শেয়ার করে নিয়েছেন নেটিজেনদের সঙ্গেও।
তাহলে একটু খোলসা করে বলা যাক। আসলে দিব্যজ্যোতি খুব পশুপ্রেমি মানুষ। তাঁর কাছে এই পশুপ্রেম কেবল কুকুর বিড়ালে আটকে নেই। বিষাক্ত সাপ থেকে চিতা সব কিছুর প্রতি তাঁর ভালোবাসা অটুট। তাই যে কোনও জায়গায় ঘুরতে গিয়েই এমন সব সঙ্গীদের জুটিয়ে নেন তিনি। তারপর আদরে, ভালোবাসায়, স্নেহে ভরে দেন তাঁদের। তখন নায়কের আদর দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে এরা কত বিষাক্ত বা হিংস্র।
আরও পড়ুন: বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বলিউডে পা দিলেন সন্দীপ্তা! কোন মেগায় দেখা যাবে তাঁকে?
মঙ্গলবার নায়ক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে শুরুতেই ইংরাজিতে একটা লেখা ভেসে ওঠে, 'আমি কি একজন ভালো কিসার?' তারপর ভিডিয়োয় কখনও গিরগিটিকে চুমু খান তিনি, আবার কখনও গলায় বিষাক্ত সাপ, তার কপালে চুমু এঁকে দেন নায়ক। আবার কখনও চিতার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে তাকে কপালে চুমু খান অভিনেতা। ভিডিয়োটি পোস্ট করে নায়ক ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি কি ভালো চুমু খেতে পারি?’
প্রসঙ্গত, একবার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়ক বলেছিলেন তিনি বাড়িতে সাপ রাখতে চান। তাঁর কথায়, ‘সাপ আমার খুব ভালো লাগে। আসলে আমার সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী ভীষণ ভালো লাগে। এটা শুনতে খুব অদ্ভুত হলেও আমার জন্য সত্যি। আমি জানিনা আমি কেন পছন্দ করি। এই নিয়ে আমি অনেক পড়াশোনাও করেছি। কত রকমের সাপ হয়, তাদের বিষ কী রকম হয়। কোন বিষ কী ধরনের ইত্যাদি। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ গ্রীন ট্রি পাইথন। বাড়িতে সাপ রাখা আমার কাছে খুব সাধারণ হলেও এটা তো সবার কাছে নয়। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই মায়ের কাছে বা আমার বাড়ির সকলের কাছে এই বিষয়টা অস্বাভাবিক। তো সেই কারণে একটু তো আপত্তি রয়েছে। তাছাড়া আমি বাড়িতে সাপ রাখলে আমার বন্ধু-বান্ধবরা আমার বাড়ি আসা বন্ধ করে দেবে। যাইহোক, দেখা যাক ভবিষতে যদি কখনও সুযোগ পাই।’