নিজের কেরিয়ারে একের পর এক সুপারহিট গান শ্রোতা ও দর্শকদের উপহার দিয়েছেন আশা ভোঁসলে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম আশার গাওয়া সেইসব গানে বুঁদ হয়ে থেকেছেন। পঞ্চাশ বেছে পেরিয়েও গায়িকার গাওয়া সেসব গান আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। এই কিংবদন্তি বলি-গায়িকার গাওয়া অজস্র গান পেয়েছে 'কাল্ট' গানেরও তকমা। বলতে গেলে একটা সময়ে তিনি যে গানই ছুঁয়েছেন তা সুপারহিটে পরিণত হয়েছে। তা এহেন গায়িকাও একবার একটি গানের প্রস্তাব পেয়ে তা গাইতে গররাজি হয়েছিলেন। যদিও পরে দিদি লতা মঙ্গেশকরের বকা খেয়ে সেই গান গাইতে রাজি হয়েছিলেন। গানটির নাম? 'তিসরি মঞ্জিল' ছবির সেই বিখ্যাত গান 'আজা আজ ম্যায় হুঁ প্যায়ার তেরা'।সম্প্রতি, জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো 'ইন্ডিয়ান আইডল ১২'-র মঞ্চে অতিথি বিচারক হিসেবে হাজির হয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। শো চলার ফাঁকে প্রতিযোগীদের সঙ্গে নানান কথা বলার ফাঁকে এই গানের প্রসঙ্গে উঠলে তিনি বেশ মজার এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রতিযোগী নিহাল তৌরোর গলায় এই গানটি শোনার পর আশা বলে ওঠেন, তাঁর কেরিয়ারে গাওয়া অন্যতম কঠিন গান ছিল এটি। সুরকার রাহুল দেব বর্মনের তরফে এই গান গাওয়ার প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে বেশ ঘাবড়েই গেছিলেন তিনি। সরাসরি এ প্রস্তাব ফিরিয়ে না দিয়ে বেশ কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দিদি লতা মঙ্গেশকরকেও বলেছিলেন নিজের ভয়ের কথা। যা শুনে দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা গায়িকা তাঁর বোন আশাকে বেশ ধমক দিয়ে বলেছিলেন, 'তুমি কিন্তু পরে ভোঁসলে, সবার আগে তোমার পরিচয় তুমি মঙ্গেশকর পরিবারের সদস্য। তাই এই গান তোমাকে গাইতেই হবে। ভয় পেলে চলবে না।' দিদির কথা শুনে ভরসা পেয়েছিলেন আশা। দুশ্চিন্তার সব মেঘ কেটে গেছিল।এরপর সুরকার রাহুল দেব বর্মনকে আশা জানান যে তাঁর দিন পাঁচেক লাগবে এই গানখানায় সড়গড় হওয়ার জন্য। রাজি হলেন আর.ডি.বর্মন। এরপর সময় পেলেই এই গানটি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করলেন আশা। একবার গাড়ি করে যেতে যেতে গুনগুন করে গানটি গাওয়া সুর করলেন আশা। সুর,তাল,লয় ঠিক আছে কি না বারবার তা পরীক্ষা করে চলছিলেন তিনি। মজার বিষয় এই গানটি গাওয়ার সময় এমন করে শ্বাসের ওঠানামা করছিলেন আশা যে গাড়ির চালক ভেবেছিলেন যে গায়িকার শ্বাসকোস্ট হচ্ছে। রীতিমতো ভয় পেয়ে তিনি আশাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে গাড়িখানা হাসপাতালের দিকে ঘুরাবেন কি না? হাসতে হাসতে নিজেই এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন 'আজা আজ ম্যায় হুঁ প্যায়ার তেরা'-র গায়িকা।