ষষ্ঠীর দিন বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় জমজমাট ভিড় হয়েছিল কলকাতার প্যান্ডেলে। সপ্তমীর সকালও ছিল রোদঝলমলে। ফলে প্রতিমা দর্শনে বেরোনো মানুষ ছিলেন স্বস্তিতে। যদিও এদিন কিছু কিছু জেলায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। তবে উৎসবের মাঝপথেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বঙ্গোপসাগরের হাওয়া। এই অবস্থায় পুজোর আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া কেমন থাকবে তা নিয়ে বড় আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: রাতভর অবিরাম বর্ষণে ডুবল কলকাতা, পুজোর মুখে চরম দুর্যোগ, আজও হবে ভারী বৃষ্টি
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে খাম্বাত উপসাগরের কাছে। তার সঙ্গে জোড়া অক্ষরেখা দক্ষিণ গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ঘনীভূত হয়ে ১ অক্টোবর নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ফলে নবমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গজুড়ে আবহাওয়া পাল্টে যাবে বলে আশঙ্কা। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, অষ্টমীর দিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদার কিছু এলাকায়ও বৃষ্টি হতে পারে।বিপদ বাড়তে পারে নবমীতে। নতুন নিম্নচাপ সক্রিয় হলে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। আর সবশেষে দশমীতে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। এদিন থেকেই বৃষ্টির প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
অর্থাৎ উৎসবের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা। সপ্তমী-অষ্টমীতে দর্শনার্থীরা নিশ্চিন্তে বেরোতে পারলেও নবমী ও দশমীতে প্যান্ডেল দর্শনের পথে ছাতা বা বর্ষাতি অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি, সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় ২ ও ৩ অক্টোবর মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।