দুর্গাপূজা ঘিরে প্যান্ডেল বাঁধার কাজে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক কিশোরের। এরপরেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ তুলে মৃতদেহ রাস্তায় শুইয়ে রেখে পথ অবরোধে সামিল হন পরিবার ও স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গোঘাটের গোবিন্দপুর এলাকায়। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আরামবাগ বাঁকুড়া দুই নম্বর রাজ্য সড়ক, সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে গুলি করার হুমকি, ABVP নেতার শাস্তির দাবি, শাহকে চিঠি কংগ্রেসের
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম অর্পণ সাঁতরা (১৭)। বাড়ি গোঘাটের মাধবপুরে। শনিবার কয়েকজন পরিচিত যুবকের সঙ্গে প্যান্ডেল বাঁধার কাজে বেরিয়েছিল সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পণকে ডাকা হয়েছিল কালীপুরে। সেখানকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে দুর্গাপূজার প্যান্ডেল তৈরির কাজ হচ্ছিল। কাজের ফাঁকেই হঠাৎ পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অর্পণের। এই খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে প্রাথমিকভাবে অসহযোগিতা করেছে গোঘাট থানার পুলিশ। রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে দেহ গ্রামে আসতেই ক্ষোভ আরও বাড়ে। পরিবারের সদস্যরা দেহ রাস্তায় রেখে বসে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হন গ্রামবাসীরাও।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অর্পণের মৃত্যু পরিকল্পিত খুন। তাঁরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তি চান। অবরোধের জেরে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় ওই এলাকায়। অবশেষে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং অবরোধ ওঠে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গ্রাম থেকেই ছেলেটাকে কাজে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কেউ বলছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, কেউ আবার অন্য কথা বলছে। আসল ঘটনাটা এখনও কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। সন্ধেয় মৃত্যু হয়েছে, অথচ রাত দশটায় খবর দেওয়া হয়। অর্পণের রহস্যমৃত্যু ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।