দক্ষিণবঙ্গে ষষ্ঠীর দিনটা বেশ ভালোই কেটেছে। এদিকে আজ, সপ্তমীতেও সকাল সকাল কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে। তবে এরই মাঝে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি আজও। এদিকে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, দশমীর দিন দক্ষিণবঙ্গ ভাসতে চলেছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে। এই আবহে ফের একবার দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পুজোয় বৃষ্টির জেরে যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত না হয়ে পড়ে, তার জন্য প্রস্তুত থাকছে রাজ্য সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নজরদারি চালাবেন পরিস্থিতির ওপর।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সেখানে একজন সিনিয়ার আইএএস অফিসার এবং দু’জন করে ডব্লুবিসিএস পদমর্য়াদার অফিসার ২৪ ঘণ্টা থাকবেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এই কন্ট্রোল রুম ৭ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে। এরপর কালীপুজোর জন্য ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় চালু থাকবে কন্ট্রোল রুম। ছট পুজোয় ২৭ ও ২৮ অক্টোবরও খোলা থাকবে এই কন্ট্রোল রুম।
এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি আছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে আজ। এরপর অষ্টীর দিন উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে। এর জেরে এই সব জেলায় জারি থাকবে সতর্কতা। সেদিনও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। নবমীতে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর এরপর দশমীতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা, হওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে। আর অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সেদিন।
এরপর একাদশী এবং দ্বাদশীতেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি জারি থাকবে। এর মধ্যে ৩ অক্টোবর (একাদশীর) ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানে। এরপর এই নিমনচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিমদিকে সরে পশ্চিমবঙ্গের থেকে দূরে চলে যাবে। এই আবহে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। তার আগে ১ এবং ২ অক্টোবর উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। এই দু'দিন বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস।